রাজ্যে কাশ ফুল ফুটে গেলেও এখনও দেখা যায়নি সাদা পেজা মেঘের ভেলা। যাওবা আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে তাও মেঘ পিছু ছাড়ছে না। শনিবার সূর্যোদয় হয়েছে মেঘের আড়ালেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্য়েই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে আবার, আর তার জেরেই বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়ার দফতর। এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক পুজোতে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে।
আরও পড়ুন, আটকে পড়ে নয়-আশীর্বাদের হাত নিয়ে, পরিযায়ী মহিলা শ্রমিকের বেশে উমা মা এবার বেহালায়
আলিপুর আবহাওয়ার দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, 'বর্ষা এখনও বিদায় নেয়নি, পূজা তে বর্ষার প্রভাব থাকবে। একের পর এক নিম্নচাপ রয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপর। আগামী ২৯ তারিখ মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যা ৩০ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে বঙ্গোপ সাগরে বিরাজ করবে। যার অভিমুখ উড়িষ্যা অন্ধ্র উপকূলে। এই নিম্নচাপ এর ফলে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হয়ে জলীয় বাষ্পের যোগান বাড়বে আমাদের রাজ্যে। তাই বৃষ্টি হতে পারে আমাদের রাজ্যে। অপরদিকে 'উত্তর বঙ্গে ১৬ থেকে ২০ বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, হলেও হালকা বৃষ্টি হবে। তারপর ২০ থেকে ২৬ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে ১৬ থেকে ২০ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। ২১ থেকে ২৬ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। তবে বেশি বৃষ্টি হবে পুজোর মধ্যে ২২ ,২৩ ও ২৪ তারিখ। কলকাতাতে ১৬ থেকে ২০ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। ২১ থেকে ২৬ কলকাতাতেও বৃষ্টি বাড়বে।
শনিবার সকালে থেকেই শহর-শহরতলিতে রোদের তেজ বাড়বে। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও খুব একটা কম নয়। তাই বৃষ্টি হলেও গরম অনুভূত হবে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৪৫ শতাংশ। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি উপরে। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৫৭ শতাংশ। শনিবার এই মুহূর্তে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে শহরের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কাদের সবচেয়ে বেশি, জানুন কী বলছেন গবেষকরা