
শুক্রবার চাঁদের আলোয় চকচক করছে গোটা শহর। এই মুহূর্তে বৃষ্টিও নিয়েছে শহর কলকাতা থেকে বিদায়। বলতে গেলে সারাদিনই ছিল রোদ-ঝলমল। এখন শুধুই শীতের অপেক্ষায় কলকাতাবাসী। যদিও গতকালের চেয়ে সামান্য বেশি শুক্রবারে এই মুহূর্তে কলকাতার তাপমাত্রা।
শীতকাল আসছে
দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতা থেকে ইতিমধ্যেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে। ওদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা সহ গৌড়বঙ্গ থেকেও বৃষ্টি নিয়েছে বিদায়। গত ৫ জুন বর্ষা শুরু হয়েছিল গৌড়বঙ্গে। বিদায় নেওয়ার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। যদিও তা বেড়ে গিয়ে গত বুধবারের পরই নিল বিদায়। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাই এবার স্বাভাবিকভাবেই বর্ষা বিদায়ের পর শীত অপেক্ষায় বাংলা। যদিও পুজোর পরপরই হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছে ভোর বেলার দিকে। রাতেও থাকছে হালকা ঠান্ডা। আর এটাই জানান দেয় যে, শীতকাল আসছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই মাস আবহাওয়া পরিবর্তন ছাড়া বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আর নেই। এবং পশ্চিমী হাওয়া শুরু হলে এবছর জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আলিপুর, ডায়মন্ড হারবার, আসানসোল, শ্রীনিকেতন, জামসেদপুর, মেদিনীপুর, কৃষ্ণনগর, বাঁকুড়া, দীঘা এলাকায় হাওয়া অফিস সতর্কতা জারি করেছে ।
আরও পড়ুন, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা ভারতের এই অংশে, দ্রুত জানুন কোথায় কোথায়
গতকালের চেয়ে সামান্য বেশি তাপমাত্রা
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৮৬ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৫২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৯১ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৫৩ শতাংশ। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ৪ ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৬৩ শতাংশ। শুক্রবার বার এই মুহূর্তে রাত ৮ টা নাগাত কলকাতার তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স।
আরও পড়ুন, ব্যাঙ্ক-নোটেও করোনা ২৮ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে, আরও কোথায় ছড়ানোর ভয় সবচেয়ে বেশি