“আন্দোলনের জেরে তাঁদের দফতরে কোনও কর্মী ঢুকতে পারছেন না,” যুক্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ‘‘এত দ্রুত শুনানির কী প্রয়োজন?” কড়া জবাব বিচারপতির।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি শিক্ষার চাকরিতে নিয়োগ হওয়ার দাবিতে শহর জুড়ে তীব্র আন্দোলন। সল্টলেকে জোরদার বিক্ষোভের জেরে আঁচ গিয়ে লেগেছে পর্ষদের অফিসে। তাই, এবার চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতা করে সোজা হাই কোর্টে অভিযোগ জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যদিও, পর্ষদকে মামলা দায়ের করে আদালতে আসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে ৩ দিনে পা দিল নিয়োগ-দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারীদের ‘আমরণ অনশন’। সোমবার থেকে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে রয়েছে সল্টলেকের করুণাময়ীতে অবস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবন চত্বর। চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভে অনড় হয়ে রয়েছেন টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাথমিক ভাবে, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু, কোনও প্রতিরোধেই প্রতিহত করা যায়নি বিক্ষোভকারীদের। তাঁদের ঠেকানোর চেষ্টা বিফল হওয়ায় এবার সেই ধর্নার বিরুদ্ধে গিয়ে আদালতে অভিযোগ জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
বিক্ষোভের বিরোধিতা করে পর্ষদ দাবি করেছে যে, এই আন্দোলনের জেরে তাঁদের দফতরে কোনও কর্মী ঢুকতে পারছেন না। তার ফলে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা পর্ষদের সমস্ত জরুরি কাজ। কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। হাইকোর্টের কাছে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে পর্ষদ।
ধর্না তুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে হাইকোর্টকে জরুরি ভিত্তিতে বুধবারই শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন পর্ষদের আইনজীবী। কিন্তু, সেই আবেদন সেদিনই খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্ষদের আবেদন শুনে বিচারপতির বক্তব্য, ‘‘এত দ্রুত শুনানির কী প্রয়োজন? এত দিন আন্দোলন চলছে, আর এক দিন চললে এমন কী অসুবিধা হবে?’’ অর্থাৎ, অতি সত্বর শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়ে পর্ষদকে মামলা দায়ের করে আদালতে আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।