একে লকডাউনে রক্ষে নেই। করোনা রুখতে এবার রাজ্য়ের ৮ থেকে ১০টি অঞ্চলে পুরোপুরি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন নিয়মে করোনা হটস্পট নির্ধারিত অঞ্চলেই কমপ্লিট লকডাউনের পথে হাঁটবে নবান্ন। কী থাকছে নতুন এই নিয়মে।
রাজ্য়ে ১০টি করোনা হট স্পটে পুরোপুরি লকডাউন,সংক্রমণ রুখতে সিদ্ধান্ত নবান্নের.
নবান্ন সূত্রে খবর, গত তিন সপ্তাহ ধরে যে সব এলাকা থেকে বেশি করোনা সংক্রমণের কেস আসছে, সেই এলাকাগুলিকেই প্রথমের তালিকায় রাখা হচ্ছে। শুক্রবার এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভা ছাড়াও জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আলোচনা করেন মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা। পুরসভা ও জেলার প্রতিনিধিদের এইসব এলাকার পরিধি ও জনসংখ্য়া সম্পর্কে তথ্য রাখতে বলেন তিনি। পাশাপাশি ১০ করোনা হট স্পটে লকডাউন হলে ঢোকা -বেরোনোর পথ কী হবে তাও বিবেচনা করে রাখতে বলেন তিনি।
আরজিকরে করোনা আক্রান্ত ২, আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হল 'মেল মেডিসিন ওয়ার্ড'.
জানা গিয়েছে, এই নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে কয়েকদিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। ফলে আগামী কয়েকদিন ওই জায়গায় কেউ ঢুকতে কিংবা বেরোতেও পারবেন না। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কেউ বেরোতে চাইলে ঢোকা বা বেরোনোর সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষা 'মাস্ট'। এছাড়াও এলাকায় গত কয়েকদিনের মধ্যে কারা যাতায়াত করেছেন, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে। এই কদিন নিয়মিত তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও চলবে।
রাজ্য়ে করোনা হট স্পট কোনগুলো, সন্ধান দেবে 'সন্ধানে অ্যাপ'..
মুখ্য়সচিব বলেন, করোনর হটস্পট নির্ধারিত এলাকাগুলির নাম রাজ্য় সরকার জানাচ্ছে না। এতে মানুষের মধ্য়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তবে নবান্ন সূত্রে খবর,আলিপুর, পন্ডিতিয়া রোড, মুদিয়ালি,বড়বাজার, নয়াবাদ, উত্তর ২৪ পরগণার বেশকিছু অঞ্চল,বেলঘড়িয়া, হাওড়ার শিবপুর ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের এগড়াও কালিম্পংয়ের ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হতে পারে। এইসব এলাকাগুলিকেই পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনতে পারে রাজ্য়।
প্রশ্ন জাগে ,লকডাউনের পাশাপাশি কী এই কমপ্লিট লকডাউন। নিজেই সেই প্রশের উত্তর দিয়েছেন মুখ্য়সচিব। রাজীব সিনহা জানিয়েছেন,কলকাতার বুকে কোনও একটি নির্দিষ্ট রাস্তা বা গলিকে লকডাউনের আওতায় আনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই রাস্তা বা গলি সংলগ্ন সব বাড়ির বাসিন্দাদের বাইরে বেরোনো কিছুদিনের জন্য় বন্ধ করতে হবে। একইভাবে কোনও গ্রামকে কমপ্লিট লকডাউনের আওতায় আনা হলে সেই নির্দিষ্ট পঞ্চায়েতের নিত্য়দিনের জীবনধারা নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
জানা গিয়েছে, কোনও জায়গায় পুরোপুরি লকডাউন হলে কারফিউয়ের মতো পরিস্থিতি হবে সেই এলাকাগুলির। এলাকার বাইরে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হবে। স্থানীয় বাজার এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে। সেক্ষেত্রে এলকাবাসীর রসদের জোগানের ব্য়বস্থা করবে সরকারই। মুখ্য়সচিব জানিয়েছন, ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই এরকম কঠোর সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে হচ্ছে রাজ্য় সরকারকে।