এক্সরে রিপোর্ট স্বাভাবিক, ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

  • ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
  • তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬ শতাংশ
  • বাইপ্যাপ সাপোর্ট মাঝে মধ্যে দিতে হচ্ছে
  • আগের থেকে ভালো রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

Asianet News Bangla | Published : May 31, 2021 11:49 AM IST

ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এখন ৯৬ শতাংশ। হাসপাতাল সূত্রে খবর এখনও তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্ট মাঝে মধ্যে দিতে হচ্ছে। তবে আগের থেকে ভালো রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। 

বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাঁর তন্দ্রাভাব রয়েছে, কিছুটা শ্বাসকষ্ট রয়েছে বুদ্ধদেবের। প্রতি মিনিটে ২ লিটারের মতো অক্সিজেন লাগছে তাঁর। হাসপাতাল জানিয়েছে জ্ঞান রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। মাঝে মধ্যে কথাও বলছেন তিনি। রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। হার্টবিট মিনিটে ৬৪, যা মোটামুটিভাবে স্বাভাবিক বলেই ধরছেন চিকিৎসকরা। 

তাঁর শরীরে শর্করার পরিমাণও স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খাবার খাচ্ছেন তিনি। যদিও হালকা কাশি রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। বুকের যে এক্স রে করা হয়েছিল তাঁর তাতে নতুন কোনও পরিবর্তন নজরে আসেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। রবিবার বিকেলে তিনি সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখেন, বিভিন্ন খবর দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

গতকাল অর্থাৎ রবিবার হাসপাতাল জানায়, আগের থেকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বুদ্ধদেবের। ইন্টারলুকিন-৬ পরীক্ষার রিপোর্টে সাইটোকাইন স্টর্মের ইঙ্গিত মিলতেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেছে মেডিক্যাল বোর্ড। দেওয়া হয়েছে রেমডেসিভির ইনজেকশন। ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের কোর্স শেষ হয়েছে। আর তাই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আগের থেকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এরই সঙ্গে চলছে আরও দুটি স্টেরয়েড ইনজেকশন। এদিকে মাঝে মধ্যে খোলা হচ্ছে তাঁর বাইপ্যাপ সাপোর্টও। 

রবিবারও প্রতি ঘন্টায় তিন লিটার করে অক্সিজেন দেওয়া হয় তাঁকে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৯২ শতাংশ ছিল রবিবার। প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রথম অবস্থায় হোম আইসোলেশনেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার আচমকাই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। শরীরের অক্সিজেন লেভেল চলে যায় ৮০-র নীচে। মুহূর্তেই তাঁকে  কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

Share this article
click me!