২০১৬-এর নভেম্বর মাস সারা দেশজুড়ে এক টালামাটাল পরিস্থিতি। হঠাৎ করেই বাতিল ১০০০ ও ৫০০ টাকার সমস্ত নোট। মধ্যবিত্ত থেকে প্রভাবশালী-ব্যবসায়ী সকলের মাথায় হাত। ব্যঙ্কের বাইরে লম্বা লাইন দেশের সমস্ত জায়গার চিত্রটা ছিল ঠিক একইরকম। নিজেদের টাকা হাতে পাওয়ার আশায় প্রাণও গিয়েছে বহু। ধীরে ধীরে সেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। শুধু ভরসা ছিল ভালোর জন্যই এই নিয়ম। ১০০০ ও ৫০০ টাকা বাতিল হয়ে হাতে এল নতুন ২০০০, ৫০০, ধীরে ধীরে ১০০, ২০০, ৫০, ২০ ও ১০ টাকার নোট। ২০১৬-এর পর আবারও নোটবন্দী। না কোনও গুজব নয়। ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করছে আরবিআই, সূত্রের খবর এমনটাই।
সরকারের মতে, ২০০০ টাকার নোটের মাধ্যমে আর্থিক তছরূপ ও কর ফাঁকি দেওয়ার মত ঘটনা দিনে দিনে বৃ্দ্ধি পেতে পারছে। যেই কারণে বাতিল হয়েছিল ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট ২০০০ টাকার নোট আসায় সেই কালো টাকার রমরমা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। ঠিক এই কারণেই ২০০০ টাকার নোট নতুন করে ছাপানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আরটিআই এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে নতুন বছরে এখনও অবধি একটিও নতুন ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়নি। অর্থমন্ত্রক সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। এমনকি বহু এটিএম-এ ইতিমধ্যেই হাওয়া হয়ে গিয়েছে ২০০০ টাকার নোট। তাই ইতিমধ্যেই 'পিঙ্ক নোট' নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে গ্রাহকদের মধ্যে।
এমনও গুজব শোনা যাচ্ছে ঠিক যেমন ধারায় ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল হয়েছিল ঠিক সেই ভাবেই বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে ২০০০ টাকার সমস্ত নোট। নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে গেলেও কোনও ব্যঙ্কের কাছে আরবিআই-এর তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা মেলেনি। আরবিআই-এর মতে দেশের মোট টাকার পরিমানের মধ্যে ৫১ শতাংশই রয়েছে ৫০০ টাকার নোট, আর সেখানে ৩১.২ শতাংশ রয়েছে ২০০০ টাকার নোট।