একের পর এক নয়া আতঙ্ক। যত দিন যাচ্ছে লড়াই ক্রমশ বাড়ছে। কারণ করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও যেন হু হু করে বেড়েই চলেছে। করোনা আতঙ্কে সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এর মধ্যেই নাসার বৈজ্ঞানিকরা ভবিষ্যৎবানী করে জানিয়ে দিয়েছেন,চলতি বছরের ৩ নভেম্বর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঠিক একদিন আগেই আসতে চলছে ভয়ঙ্কর বিপদ। মহাকাশ থেকে আসা বিশালকৃতির এক গ্রহাণু পৃথিবীতে এসে আছড়ে পরতে পারে বলেই জানিয়েছে নাসা।
আরও পড়ুন-ডকুমেন্টস ছাড়াই আপডেট করতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় আধার কার্ড, জানুন এখনই...
সম্প্রতি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এই গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর টক্করের ০.৪১ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্টে জানা গেছে, নাসার বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন যে, ০.০০২ কিমির (প্রায় ৬.৫ ফুট) গ্রহাণুটি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন পৃথিবীর খুব কাছ থেকে যাবে। ২০১৮ সালে প্রথমবার এই গ্রহাণুকে ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমর পর্যবেক্ষণাগারে চিহ্নিত করা হয়েছিল। নাসা আরও জানিয়েছে, এই গ্রহাণুর কারণে তিনটি প্রভাব হতে পারে। কিন্তু মার্কিন স্পেস এজেন্সি ২১ টি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে মোট ১২.৯৬৮ দিনের ব্যবধান নির্ধারিত করেছে। এবং তাদের গবেষণায় যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গেছে, এই গ্রহাণুর ধেয়ে আসাতে পৃথিবীতে খুব একটা গভীর প্রভাব পড়বে না।
গত সপ্তাহেও একটি ফোর উইলার গাড়ির আকারের মতো আয়তনের গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে গেছে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছ ঘেষে যাওয়ার পর বিজ্ঞানিকরা সেই বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন। নাসা পরে জানিয়েছে যে, ওই গ্রহাণু রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৯.৩৮ নাগাদ দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ২ হাজার ৯৫০ কিমি উপর দিয়ে গেছে। কিন্তু নভেম্বর মাসে যেই গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, সেটি হয় পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে, আর তা না হলে পৃথিবীর খুব কাছ থেকে যাবে। তবে এত বড় গ্রহাণু যদি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় তা হলে মারত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেমন-সুনামি, ভূমিকম্প, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।