বেলি ফ্যাট থেকে মুক্তি পেতে চান, সকালে খালি পেটে গুড়ের সঙ্গে খান এই খাবার

শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে নাজেহাল অবস্থা। ওজন কমাতে প্রত্যেকেই মরিয়া।  ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা সব কিছুই করেও নাজেহাল। মেদ ঝরানোর জন্য একের পর এক সব করেও কোনও ফল পাচ্ছেন না। কিন্তু মেদ কমাতেই হবে। তার জন্য যে কোনও উপায়েই হোক তা রপ্ত করতেই হবে। কিন্তু হাজারো চেষ্টা করেও সব কৌশলই ব্যর্থ হচ্ছে। এবার আর কোনও চিন্তা নেই। নিয়মিত এই খাবার খেলেই তড়তড়িয়ে কমবে দেহের বাড়তি ওজন। শরীরের বাড়তি ওজন না বাড়িয়ে মুখের স্বাদকোরকের খেয়াল রাখে কিশমিশ। কিশমিশ খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন সমৃদ্ধ কিশমিশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের ডায়েটে ৪-৫ টা কিশমিশ ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে রেখে গুড় মিশিয়ে খেয়ে নিন। প্রথমে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খান এবং পরে গুড় (Jaggery) মেশানো জল খান। প্রতিদিন নিয়ম করে এই জল খেলেই তড়তড়িয়ে কমবে দেহের ওজন (Weight Loss)।

Riya Das | Published : Mar 16, 2022 11:31 AM IST

শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে নাজেহাল অবস্থা। ওজন কমাতে প্রত্যেকেই মরিয়া।  ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা (Exercise) সব কিছুই করেও নাজেহাল। মেদ ঝরানোর জন্য একের পর এক সব করেও কোনও ফল পাচ্ছেন না। কিন্তু মেদ কমাতেই হবে। তার জন্য যে কোনও উপায়েই হোক তা রপ্ত করতেই হবে। কিন্তু হাজারো চেষ্টা করেও সব কৌশলই ব্যর্থ হচ্ছে। এবার আর কোনও চিন্তা নেই। নিয়মিত এই খাবার খেলেই তড়তড়িয়ে কমবে দেহের বাড়তি ওজন (Weight Loss)। 

শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেকেই নিয়মিত গুড় (Jaggery) খেয়ে থাকেন। এখন প্রায় সারাবছরই প্রায় গুড় পাওয়া যায়।   চিনির থেকে গুড় স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটা ভাল। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় দিনের শেষে শরীর ক্লান্ত লাগে আর তখনই অনেকে ট্যাবলেট খান। কিন্তু হাতের কাছে এক টুকরেো গুড় থাকলে সমস্যার সমাধান। ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য় গুড় মিশিয়ে খেলেই নিমেষে দূর হবে সারাদিনের ক্লান্তি থেকে নানান জটিল রোগ। ঠিক তেমনই ওজন কমাতেই জুড়ি মেলা ভার গুড়ের। গুড় খেলে ওজন কমে কথাটা শুনে চোখ কপালেও উঠলেও এটাই সত্যি। 

 

 

শরীরের বাড়তি ওজন (Weight Loss) না বাড়িয়ে মুখের স্বাদকোরকের খেয়াল রাখে কিশমিশ। কিশমিশ খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন সমৃদ্ধ কিশমিশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, রক্তাল্পতার সমস্যাও দূর করে  কিশমিশ। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। অন্যদিকে প্রতিদিনের ডায়েটে গুড় থাকলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গুড় খেলে তলপেটের মেদও কমে যায় দ্রুত। এই দুই উপকরণ ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিশমিশ ও গুড় পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে পাশাপাশি রেসপিরেটরি সিস্টেমও পরিস্কার রাখে। প্রতিদিনের ডায়েটে ৪-৫ টা কিশমিশ ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে রেখে গুড় মিশিয়ে খেয়ে নিন। প্রথমে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খান এবং পরে গুড় (Jaggery)  মেশানো জল খান। প্রতিদিন নিয়ম করে এই জল খেলেই তড়তড়িয়ে কমবে দেহের ওজন।গুড়ের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে  যা শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি জোগাতে কাজে লাগে। এই টোটকা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদে গুড়ের নানা উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রাকৃতিক ভাবে সুস্থ থাকতে গুড়ের জুড়ি মেলা ভার। খেজুর কিংবা আখের গুড় শরীরের জন্য ভীষণ ভাল। ভিটামিন বি ১, বি ৬, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়ামে পরিপূর্ণ গুড়ে রয়েছে জিঙ্ক ও সেলেনিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। যা রাতে কিংবা সকালে খেলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে। গুড় খেলে ওজন বাড়ে এমনটা সম্পূর্ণ ভুল । গুড়ে পটাশিয়াম থাকায় শরীরে ইলেকট্রোলাইট সমতা বজায় রাখে। যার ফলে জল ধরে রাখার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায় এবং তার সঙ্গে দেহের বাড়তি মেদও কমে।


 

Read more Articles on
Share this article
click me!