স্বাদে তেঁতো হলেও কাজে জুড়ি মেলা ভার করোলার। করোলা হোক কি উচ্ছে, প্রথম পাতে ভাজায় জমে যায়। বাঙালির সুক্তোনিতে আজও অবিকল্প এই করোলা বা উচ্ছে।
১০০ গ্রাম করোলা থেকে পাওয়া যায় ৩৪ ক্য়ালোরি। এতে টোটাল ফ্য়াট থাকে ০.২ গ্রাম। সোডিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম ৬০২ মিলিগ্রাম। টোটাল কার্বোহাইড্রেট ৭ গ্রাম, যার মধ্য়ে ডায়েটারি ফাইবার থাকে ১.৯ গ্রাম আর সুগার ১ গ্রাম। প্রোটিন ৩.৬ গ্রাম। এছাড়াও থাকে ভিটামিন-এ, ক্য়ালশিয়াম, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি-৬, ম্য়াগনেশিয়াম, আয়রন।
করোলার জুস থেকে পাওয়া যায় ভালো পরিমাণে ভিটামিন-সি। যা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং টিস্য়ু হিলিং আর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য় রক্ষাতেও কাজ করে। করোলা জুসের থেকে পাওয়া যাচ্ছে প্রোভিটামিন-এ শরীরে গিয়ে ভিটামিন-এ তে পরিণত হয়। যা চোখের দৃষ্টি ও ত্বকের স্বাস্থ্য় সুরক্ষায় কাজ করে। এককাপ করোলার জুস, আমাদের প্রত্য়েক দিনের খাদ্য় তালিকায় ৮ শতাংশ ফাইবার জোগায়। এই ফাইবার আমাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য় করে। বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে করোলার জুসের কোনও জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা, পলিপেপটাইড-পি, চারানটাইন এবং ভাইসাইন, এই তিন উপাদান গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে পারে। করোলার জুসে থাকা ভিটামিন-সি ও প্রোভিটামিন-এ শরীরের ক্ষত সারাতে এবং চামড়ার স্বাস্থ্য় সুরক্ষায় কাজ করে।
ওজন কমাতেও সাহায্য় করে করোলার জুস। এক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৪২জনকে রোজ ৪.৮ গ্রাম করে করোলার নির্যাস খাওয়ানোর পর তাদের বেলি ফ্য়াট বা ভুঁড়ি তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমে গিয়েছে। ৭ দিন পর দেখা গিয়েছে তাদের গড়ে কোমরের মাপ কমেছে ০. ৫ ইঞ্চি।