ফুচকা থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, আলু ছাড়া যেন জমতেই চায় না। তবু, এই আলুই অনেক সময়ে ভীতির কারণ হয়ে ওঠে। মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই আলু খেতে চান না। কেউ বা ডায়েট করতে গিয়ে আলু বাদ দিয়ে দেন পুরোপুরি। কিন্তু কোনওটাই ঠিক নয়। কারণ, আলুর রয়েছে হরেক গুণ।
১০০ গ্রাম খোসাসুদ্ধ সেদ্ধ আলুতে পাওয়া যায় ৯৪ ক্য়ালোরি। পাওয়া যায়, ০.১৫ গ্রাম ফ্য়াট, ২১.০৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। ২.১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার। ২.১০ গ্রাম প্রোটিন। কোলেস্টরল একেবারে শূন্য়। ক্য়ালশিয়াম ১০ মিলিগ্রাম। আয়রন ০.৬৪ মিলিগ্রাম। ম্য়াগনেশিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম। ফসফরাস ৭৫ মিলিগ্রাম। ৫৪৪ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। ১২.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি। ০.২১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-বি৬। ৩৮ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট। আলুতে থাকে আলফা-লাইপোয়িক অ্য়াসিড। এটি শরীরে গ্লুকোজকে শক্তিতে পরিবর্তিত করে। কিছু পরীক্ষানিরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই আলফা-লাইপোয়িক অ্য়াসিড রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিক রোগীদের রেটিনোপ্য়াথি থেকে রক্ষা করে। আলুর খোসায় থাকা ফ্ল্য়াবনয়েড কোয়ারসিটিনে অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্য়ান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ থাকে। বিশেষ করে এই অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের জন্য় কতটা কার্যকরী তা বলে শেষ করা যায় না। আলুতে ভিটামিন-সি থাকে, যা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা ক্য়ানসার প্রতিরোধ করে। আমাদের হজম শক্তি ও কার্ডিওভাসকুলার ফাংশনকে ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য় করে। আলুতে থাকা ফাইবার আমাদের ডায়েজেস্টিভ সিস্টেমকে ঠিক রেখে কোষ্ঠাকাঠিন্য় দূর করতে সাহায্য় করে। আলুতে থাকে ফোলেট। এই ফোলেট ডিএনএ ঠিকঠাক রাখতে ও তার সিন্থেসিলে কাজে দেয়। কাজেই, ক্য়ানসার প্রতিরোধ করতে এর যে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তা বলাই বাহুল্য়।
আলুতে থাকে ভিটামিন-বি৬। কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনকে ভেঙে গ্লুকোজ ও অ্য়ামাইনো অ্য়াসিডে পরিণত করতে কার্যকরী ভূমিকা নেয় ভিটামিন-বি৬। ত্বকের জন্য় উপকারী বন্ধু কোলাজেন। আলুতে থাকা ভিটামিন-সি অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে অতি বেগুনী রশ্মি, দূষণ ও ধোঁয়া ধুলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে। তাই ডায়েট করতে গিয়ে আচমকা বন্ধ করে দেবেন না আলু খাওয়া।