মা দুর্গা আগমনের পথে। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই পুজো নিয়ে সকলের মাতামাতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তারসঙ্গে খাওয়া দাওয়ার প্ল্যানিং হবে না টা কি হয়? তবে সেই তালিকায় মটন কিন্তু মাস্ট। আর মটন বিরিয়ানি তো আজকাল প্রায় দৈনন্দিন খাবার হয়ে উঠেছে সকলের। কিন্তু কখনও মটন কিমার দম পোলাও খেয়ে দেখেছেন কি? খেয়ে দেখুন একবার, গতানুগতিক পোলাও এর নাম ভুলে যাবেন এই দাবী করাই যায়। তাহলে দেখে নেওয়া যাক এই অসাধারন খাবারটি বানানোর রেসিপি।
উপকরণ
দেরাদুন রাইস – ৪০০ গ্রাম
মটন কিমা – ২৫০ গ্রাম
দুধ – ১০০ মিলি
জল – ৬০০ মিলি
কিসমিস – ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি – ১টা
আদাবাটা – ২ চা চামচ
রসুনবাটা – ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুড়ো – ১/২ চা চামচ
নুন স্বাদমতো
চিনি – ১ চা চামচ
ঘি – ৬ টেবিল চামচ
সাদা তেল – ২ টেবিল চামচ
গোটা গরমমশলা – ২ চা চামচ
জায়ফল গুড়ো – ১/২ চা চামচ
জয়িত্রী গুড়ো – ১/২ চা চামচ
পদ্ধতি
রান্নার আধ ঘন্টা আগে চাল ভিজিয়ে রাখুন। এরপর একটা কুকারে মাংসের কিমা নিন এবং তারমধ্যে জল, নুন, গোলমরিচ গুড়ো, আদা রসুন বাটা ও জায়ফল-জয়িত্রী গুড়ো দিয়ে ২টো সিটি দিয়ে নামিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা হলে প্রেসার কুকার খুলে কিমা ও জল ছেঁকে নিন। আর চাল থেকে জল ঝরিয়ে রাখুন। এরপর একটা বড় প্যান গরম করে তাতে ঘি ও সাদা তেল দিন। ঘি গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ও গোটা গরমমশলা দিয়ে বেশ সোনালী করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হলে সেদ্ধ করে রাখা কিমা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভাজুন। এইবার ওই কিমার মধ্যেই চাল দিয়ে আরো দু’মিনিট ভেজে নিন। ভাজা হলে প্যানের মধ্যে দুধ, চিনি, কিসমিস ও কিমা সেদ্ধ জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দেবেন। এরপর জল শুকিয়ে এলে ঢাকা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে মিনিট ২০ দমে রাখুন। ২০ মিনিট পরে ঢাকা খুলে ভালো করে নেড়ে দিন।
এবার সার্ভিং ডিসে ঢেলে সার্ভ করুন মটন কিমার দম পোলাও।