চলছে পিতৃপক্ষ, এই সময়ে মেনে চলুন উল্লিখিত নিয়মগুলি

  • পূর্ব পুরুষের তর্পণাদির জন্য এক বিশেষ পক্ষ
  • পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ, তর্পণ ইত্যাদি মৃত্যু-সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়
  • এই পক্ষ শুভকার্যের জন্য একদমই সঠিক সময় নয়
  • গণেশ উৎসবের পরবর্তী ভাদ্র পূর্ণিমা তিথিতে এই পক্ষ সূচিত হয়

deblina dey | Published : Sep 19, 2019 6:01 PM IST

আমাদের কাছে যা সাধারণত "মহালয়া" নামে পরিচিত, হিন্দুধর্ম মতে, বিশেষ এই দিন পিতৃপক্ষ। এই দিনটি পূর্ব পুরুষের তর্পণাদির জন্য এক বিশেষ পক্ষ। বিশেষ  এই দিনটি পিতৃপক্ষ, ষোলা শ্রাদ্ধ, কানাগাত, জিতিয়া, মহালয়া পক্ষ ইত্যাদি নামেও পরিচিত।

আরও পড়ুন- কুমারী পুজো শুরু হওয়ার পেছনে রয়েছে এক ইতিহাস, জেনে নিন সেই কাহিনি

হিন্দু রীতি অনুযায়ী, পিতৃপক্ষে প্রেতকর্ম (শ্রাদ্ধ), তর্পণ ইত্যাদি মৃত্যু-সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়, সেই হেতু এই পক্ষ শুভকার্যের জন্য একদমই সঠিক সময় নয়। দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে গণেশ উৎসবের পরবর্তী ভাদ্র পূর্ণিমা তিথিতে এই পক্ষ সূচিত হয় এবং সমাপ্ত হয় সর্ব পিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা মহালয়া দিবসে। উত্তর ভারত ও নেপালে ভাদ্রের পরিবর্তে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয়।

আরও পড়ুন- এই তিন উপাদান ছাড়া, বানানো হয় না মায়ের মৃ্ণ্ময়ী মূর্তি

এই সময় অন্তত ৩ থেকে ৫ জন ব্রাহ্মণ নিজের সাধ্য মত ভোজন করানো উচিৎ। হিন্দু শাস্ত্রমতে, পিতৃপক্ষে এই নিয়ম পালন করলে পূর্ব পুরুষদের পাপ স্খলন হয়। সেই সঙ্গে দুঃসময়ও কেটে যায়। এই পক্ষে পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করে বস্ত্র কিংবা খাদ্য দুঃস্থদের সাধ্য মতো দান করুন, এতে সংসারের সমস্ত খারাপ প্রভাব কেটে যাওয়ায় সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে সংসারের শ্রী বৃদ্ধিও ফিরে আসে। এই সমস্ত দান কার্য্য করার শুভ সময় হল পিতৃ পক্ষের সন্ধ্যে বেলায়, সকালে কিংবা দুপুরে নয়।

Share this article
click me!