সুষম খাদ্য় হিসেবে এক নম্বরে যদি থাকে দুধ, তাহলে তার পরেই রয়েছে ডিম। একটা সেদ্ধ ডিমে থাকে ভিটামিন-এ, ফোলেট, ভিটামিন-বি-৫, ভিটামিন-বি-১২, ভিটামিন-বি-২, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি৬, ক্য়ালশিয়াম, জিঙ্ক, ওমেগা-থ্রি ফ্য়াট। একটা সেদ্ধ ডিম থেকে পাওয়া যায় ৭৭ ক্য়ালোরি। পাওয়া যায়, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম হেলদি ফ্য়াট। এ কথা সত্য়ি যে, ডিমে কোলেস্টেরল থাকে বেশ উচ্চমাত্রায়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে না।
ডিম এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরল বাড়ায়। যার ফলে হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক ও অন্য়ান্য় শারীরিক সমস্য়ার ঝুঁকি কমায়। দেখা গিয়েছে, ৬ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুটো করে ডিম খেলে এই গুড কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে প্রায় ছ-শতাংশ মতো। একটা ডিমে থাকে প্রায় ১০০ মিলিগ্রাম কোলাইন। কোলাইন সেল মেমব্রেন তৈরি করতে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোতে সংকেত পাঠাতে কাজ করে। শরীরে এর ঘাটতি হলে স্বভাবতই বিরূপ প্রভাব পড়ে।
ডিমে থাকা লুটেইন এবং জিয়াজ্য়ানথিন নামক অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্য়রক্ষায় কাজ করে। এবং সেই সঙ্গে ম্য়াকুলার ডিজেনারেশন ও ক্য়াটারাক্ট প্রতিরোধ করে। ডিমে এই দুটো উপাদান উচ্চমাত্রায় থাকে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টানা কিছু সপ্তাহ ধরে ডিমের কুসুম খেলে রক্তে লুটেইন বৃদ্ধি পায় ২৮ থেকে ৫০ শতাংশ। এবং জিয়াজ্য়ানথিন বৃদ্ধি পায় ১১৪ থেকে ১৪২ শতাংশ। আমরা জানি ভিটামিন-এ-র অভাবে অন্ধত্ব আসে। ডিমে উচ্চমাত্রায় থাকে ভিটামিন-এ। ওমেগা-থ্রি ফ্য়াটি অ্য়াসিড সমৃদ্ধ ডিম রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমাতে খুব ভাল কাজ করে। ডিমে উচ্চমাত্রায় থাকে অ্য়ানিমেল প্রোটিন। এবং প্রয়োজনীয় অ্য়ামাইনো অ্য়াসিড, যা আমাদের শরীরের জন্য় খুব উপকারী। অনেক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডিম খাওয়ার সঙ্গে হার্টের সমস্য়া বাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ডিম, সমস্ত ম্য়াক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায়, ওজন কমানোর জন্য় আদর্শ।