
অন্যান্য ঋতুর তুলনায় বর্ষায় শরীর ও চুলে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। এইসময় গাছপালা সবুজ সতেজ হয়ে উঠলেও, আপনার চুল ও স্ক্যাল্পের জন্য ক্ষতিকর বৃষ্টির জল। অনেকেই জানেন না, বৃষ্টির জল আসলে অ্যাসিডিক ও দূষিত উপাদানে ভরপুর, যা সরাসরি চুলের গোড়ায় প্রভাব ফেলে এবং চুল পড়া, খুসকি ও চুলকানির সমস্যা তৈরি করে।
আবার অনেকেই বর্ষাকালে চুলের যত্নে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশ্রিত প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। এতে চুলে সেই সময় শাইন দিলেও রাসায়নিকের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে চুলের ক্ষতি হতে পারে। পরিবর্তে আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া, সস্তা ও কার্যকর উপাদান—ফিটকিরি বা Potassium Alum।
চুলের যত্নে ফিটকিরি
ফিটকিরির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান, যা ত্বকের ক্ষত সারায়, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথার ত্বকে নিয়মিত ফিটকিরি লাগালে খুসকির সমস্যা সমাধান হয়। চুলকানি এবং চুল পড়ার সমস্যাও দূর হয় সহজে।
চুলের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন ফিটকিরি?
১। ফিটকিরি জল দিয়ে চুল ধোয়া
এক কাপ গরম জলে এক চামচ ফিটকিরি গুঁড়ো বা ছোট টুকরো মিশিয়ে ভালো করে গুলে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই জল চুলে ঢেলে দিন। ৫–১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
নিয়মিত কিছুদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুসকি কমবে, চুল ঝরঝরে হবে।
২। ফিটকিরি-নারকেল তেল হেয়ার মাস্ক
উষ্ণ নারকেল তেলের মধ্যে একটি ছোট ফিটকিরির টুকরো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার স্ক্যাল্পে মেখে ভালোভাবে মাসাজ করে ৩০–৪৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
চুল পড়া কমাতে ও চুলের গোড়া মজবুত করতে ভীষণ উপকারী এই মিশ্রণ।
৩। স্নানের পর ফিটকিরি ও গোলাপজল স্প্রে
গোলাপজল আর ফিটকিরি একসাথে গুঁড়ো করে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে মিশ্রণটি রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রয়োজনমতো মাথার ত্বকে ও চুলে স্প্রে করে মাসাজ করুন। ধোয়ার প্রয়োজন নেই, তাই স্নানের পরও ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপ জল আর ফিটকিরি একসাথে মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখে, ইনফেকশন রোধ করে, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।