
রোদের হাত থেকে বাঁচতে বাইরে বেরনোর সময় সানস্ক্রিন মাখাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাড়ির ভেতরেও এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। এর কারণ হলো, সূর্যের UVA রশ্মি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রশ্মি জানলা দিয়েও ঘরে প্রবেশ করতে পারে, যা ত্বকের অকাল বার্ধক্য, কালো দাগ বা ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এছাড়াও, রান্নার সময় সৃষ্ট তাপ বা ব্লু লাইট (যা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থেকে নির্গত হয়) থেকেও ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
* বাড়ির ভেতরে সানস্ক্রিন ব্যবহারের গুরুত্ব :
* UVA রশ্মির প্রভাব: UVA রশ্মি সরাসরি রোদ না থাকলেও ঘরের ভেতরে জানলার কাঁচ ভেদ করে আসতে পারে এবং ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে কোলাজেন নষ্ট করতে পারে। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা দেখা দেয়, এবং ত্বক কুঁচকে যায়।
* ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস: UVA রশ্মির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বাড়িতে থাকা অবস্থায়ও নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
* অকালে বার্ধক্যের লক্ষণ: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ছাড়াও, কম্পিউটার, মোবাইল বা ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থেকে নির্গত নীল আলোও (Blue Light) ত্বকের অকাল বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে। সানস্ক্রিন এই রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
* রান্নার সময় ত্বকের ক্ষতি: রান্নাঘরের তাপও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সানস্ক্রিন এই তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও ত্বককে রক্ষা করে।
* মেঘলা দিনেও সতর্কতা: রোদ না থাকলেও মেঘলা দিনেও অতিবেগুনি রশ্মির (UV rays) প্রভাব থাকে। তাই এই সময়েও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
* কীভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন:
* সঠিক সানস্ক্রিন নির্বাচন: আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি উপযুক্ত SPF যুক্ত সানস্ক্রিন বেছে নিন।
* সঠিক সময়ে ব্যবহার: বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন এবং বাড়ির ভেতরে থাকলেও দিনের বেলায় নিয়মিত এটি ব্যবহার করুন।
* নিয়মিত রি-অ্যাপ্লিকেশন: প্রতি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন আবার লাগালে এটি আরও কার্যকর হয়।
* ময়শ্চারাইজারের পর: সাধারণত ত্বকের যত্নের রুটিনে ময়শ্চারাইজারের পর সানস্ক্রিন লাগানো উচিত।