চুল তার নিজস্ব প্রাকৃতিক রঙ তৈরি করে। এই রঙকে মেলানিন বলা হয়। চুলের ফলিকলে প্রাকৃতিক চুলের রঙ তৈরি হয়। কিন্তু চুল যখন চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি, বিশ্রাম ও পরিবেশ পায় না, তখন চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে
Get rid of gray hair problem: কম বয়সে চুল পাকা হয়ে যাওয়া এখন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তরুণদের মধ্যেই এই সমস্যা বাড়ছে না, এখন শিশুরাও এই সমস্যারর শিকার। এই অবস্থায় মাথায় এমন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, কম বয়সে চুল পাকা হয়ে যাচ্ছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্রথমেই জানতে হবে চুলে রং হয় কীভাবে?
চুল তার নিজস্ব প্রাকৃতিক রঙ তৈরি করে। এই রঙকে মেলানিন বলা হয়। চুলের ফলিকলে প্রাকৃতিক চুলের রঙ তৈরি হয়। কিন্তু চুল যখন চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি, বিশ্রাম ও পরিবেশ পায় না, তখন চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে, মেলানিন উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং চুল ধূসর হতে শুরু করে।
প্রাকৃতিকভাবে সাদা চুল কালো করবেন কিভাবে?
আপনি যদি আবার প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুল কালো করতে চান, তাহলে এই তিনটি জিনিস আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন এবং সেগুলির একটি হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন এবং মাসে দুইবার এটি লাগান। তবে মনে রাখবেন সাদা চুল কেবল তখনই কালো হতে পারে যদি তাদের ধূসর হওয়ার কারণ জেনেটিক না হয়। ভুল লাইফস্টাইল এবং রোগের কারণে চুল সাদা হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই আবার কালো হয়ে যেতে পারে।
১) ১০০ গ্রাম তিসির তেল
২) ২ টো পাতিলেবু
৩) ২ কোয়া রসুন
৪) ৫০০ গ্রাম মধু
প্রথমেই একটি লেবু থেকে রস বের করে নিন অপরটি টুকরো করে কেটে নিন। এবার একটি ব্লেন্ডার তিসির তেল ও লেবুর রস ও টুকরো ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এর পর এর মধ্যে বাকি দুই উপকরণ মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি একটি এয়ারটাইট কৌটয় ফ্রিজে স্টোর করতে পারেন। প্রতিদিন তিনবার খাওয়ার আধঘন্টা আগে এই মিশ্রণ খেতে হবে। এটি খাওয়ার ১০-১৪ দিনের মধ্যেই তফাৎটা আপনার চোখে পড়বে। এই উপায়ে শুধু যে চুল কালো হবে তাই নয় ত্বকও উজ্জ্বল হবে।
কীভাবে চুল ধূসর হওয়া থেকে রক্ষা
চুল কালো রাখতে হলে সময় মতো তেল দেওয়া খুবই জরুরি। তেল দিলে চুলে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা প্রদান এবং প্রাকৃতিক চুলের রঙ বাড়াতে সাহায্য করে।
মিষ্টি, অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট ও অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট যুক্ত খাবার খাওয়া চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে সাহায্য করে।
মিষ্টি খাবারের মানে যেসব খাবার প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি সেসব খাবার খান। যেমন, কলা, আখ, আঙুর এবং অন্যান্য পাকা ফল, গুড় ইত্যাদি।
এস্ট্রিঞ্জেন্ট খাবার বলতে বোঝায় যে সব খাবার টক-মিষ্টির পাশাপাশি হালকা তিক্ত স্বাদের। যেমন, আমলা, কেরি, করলা, কারি পাতা ইত্যাদি।
অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের ক্যাটাগরিতে কাঁচা কলা যা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, ডালিম, লেবু, ছোলা, ক্র্যানবেরি এবং কাঁচা সবজি ইত্যাদি।
রাতে ঘুমানোর আগে নাকের দুই ছিদ্রে এক ফোঁটা খাঁটি গরুর ঘি দিন। আঙুলের সাহায্যে নাকের ভিতরে লাগাতে পারেন।
প্রতিদিন আমলা খান। আপনি যদি নিয়মিত আমলা খান, গ্রীষ্ম এবং শীত উভয় সময়েই, আপনার চুল স্বাভাবিকভাবেই কালো থাকে। আমলা জাম সারা বছরই পাওয়া যায়।
এই সব কাজ নিয়মিত করলে আপনার পাকা চুলও ধীরে ধীরে কালো হয়ে যেতে পারে। কারণ এসব খেলে চুলের ভেতরের মেকানিজম সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয় এবং প্রাকৃতিক রঙের উৎপাদন শুরু হয়।