
অতিরিক্ত চুল পড়া অনেকেরই সমস্যা। মানসিক চাপ, ভুল খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টির অভাব, খুশকি ইত্যাদি নানা কারণে চুল পড়তে পারে। চুল পড়া কমানোর জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হল...
এক
নিয়মিত তেল মালিশ করা চুল পড়া নিয়ন্ত্রণের অন্যতম কার্যকরী আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি। আমলকী, ব্রাহ্মী, নিম ইত্যাদি ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহার করুন। এই ভেষজ উপাদানগুলি চুলকে শক্তিশালী করে। সপ্তাহে দুই-তিনবার অল্প পরিমাণে তেল নিয়ে আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং পুষ্টির শোষণ বাড়ায়।
দুই
মাথার ত্বকের ঘাম এবং আর্দ্রতা চুলকানি, খুশকি এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এটি আরও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সপ্তাহে দুইবার টক দই, শিকাকাই, ত্রিফলা গুঁড়ো দিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। এই ভেষজ ক্লিনজারগুলি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে।
তিন
অপর্যাপ্ত পাচনতন্ত্র, পুষ্টির অভাব, এবং উচ্চ মানসিক চাপ চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এটি চুল পড়া সহ নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। অশ্বগন্ধা, আমলকী ইত্যাদি ভেষজ উপাদান পাচনতন্ত্র উন্নত করতে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
চার
হালকা, গরম এবং ঘরে তৈরি খাবার খান। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য, ডাল, মৌসুমি ফল, ঘি, হলুদ, কারি পাতা ইত্যাদি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন। এটি চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
পাঁচ
আমলকী, অ্যালোভেরা হেয়ার মাস্ক: আমলকী গুঁড়ো, অ্যালোভেরা পাল্প এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্কটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই-তিনবার ব্যবহার করুন।
ছয়
২ টেবিল চামচ মেথি এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে, একটি পেস্ট তৈরি করে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগান। ৩০-৪৫ মিনিট রাখুন।