আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনার শুষ্ক ত্বকের উন্নতি ঘটাতে পারেন। ঘরের রান্নাঘরে এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যা এক চিমটে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
শীতের মৌসুম শুরু হলেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। নিস্তেজ ত্বক আপনার মুখের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বাজারে পাওয়া বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ঠিক নয়। আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনার শুষ্ক ত্বকের উন্নতি ঘটাতে পারেন। ঘরের রান্নাঘরে এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যা এক চিমটে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
পুষ্টির অভাবে এই সমস্যা হয়
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই হয় না, অনেক সময় আমাদের শরীরে উপস্থিত কিছু পুষ্টির অভাবের কারণেও আমাদের ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রান্নাঘরে থাকা সেই জিনিসগুলো যা শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি দিতে পারে।
নারকেল তেল
নারকেল তেল আমাদের ত্বককে সবচেয়ে ভালোভাবে হাইড্রেট করতে পারে, এতে উপস্থিত স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ত্বকের শুষ্কতা কমায়।
সূর্যমুখীর তেল
রোজ রাতে সূর্যমুখী তেল লাগালে সকালে ত্বকের উন্নতি ঘটে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও দূর হয়। এই তেল আমাদের ত্বককে খুব দ্রুত ময়েশ্চারাইজ করে।
দুধের স্বর
দুধের স্বর ফসফোলিপিড নামক ফ্যাট পাওয়া যায়। এটি আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। এটি আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
মধু
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতেও মধুকে খুবই উপকারী মনে করা হয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আমাদের ত্বক থেকে শুষ্ক ত্বককে আলাদা করে। অনেক চর্মরোগ সারাতে মধু ব্যবহার করা হয়।
ঘৃতকুমারী
আজকাল প্রায় প্রতিটি ঘরেই অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। এটি কেটে কিছুক্ষণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন, কয়েক দিনের মধ্যে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
বাদাম তেল
বাদাম তেলে কিছু মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ত্বক অন্যরকম দেখাতে শুরু করবে।
আভাকাডো
এতে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ত্বকের ছিদ্র পূরণ করে। এর পাল্প ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর কুসুম গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অপ্রতিরোধ্যভাবে নরম।