ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে শীতকাল। কিন্তু , গাঁদা ফুলের এই ফেস প্যাক ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখবে সারা বছরই।
শীতের মরসুম মানেই কমলালেবু আর গাঁদা ফুল। ঘরে ঘরে এই দুইয়ের সমাগম হয়ে যায় প্রায় দৈনন্দিন। তবে, শুধু কি আর পূজার থালা? রূপচর্চার ক্ষেত্রেও গাঁদা ফুলের ব্যবহার খুবই কার্যকরী। ত্বকের পরিচর্যা করার জন্য জেনে নিন গাঁদা ফুলের ব্যবহার।
গাঁদা ফুল, বেসন এবং দুধের ফেস প্যাক: কয়েকটা গাঁদা ফুল বেটে পেস্ট করে নিন। একটা পাত্রে ১ টেবিল চামচ মিশ্রণ নিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ কাঁচা দুধ এবং ১ চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। এবার এই সম্পূর্ণ মিশ্রণটি গলায় এবং মুখে মেখে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর কিছুটা শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
-
গাঁদা ফুল, মধু এবং দুধের সরের ফেস প্যাক: ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করতে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ১ টেবিল চামচ গাঁদা ফুলের পাঁপড়ির রস, ১/২ চামচ মধু এবং ২ চামচ দুধের সর মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মুখে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এই ফেস প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করেন মুখের বলিরেখা দূর হবে, সহজে বয়সের ছাপ পড়বে না।
-
গাঁদা ফুল এবং টক দইয়ের ফেস প্যাক: রোদ্দুরে বেরোলে ত্বকে ট্যান পড়ে যায়। সূর্যের তাপে হওয়া পোড়া দাগ তোলার জন্য গাঁদা ফুল এবং দইয়ের মিশ্রণ দুর্দান্ত কাজ করবে। ২ চামচ গাঁদা ফুল বাটা এবং ২ চামচ টক দই একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ট্যান তোলার ক্ষেত্রে ভীষণ ভালো কাজ করবে টক দই এবং গাঁদা ফুলের ফেসপ্যাক।
-
গাঁদা ফুল এবং লেবুর রসের মিশ্রণ: এই ফেসপ্যাক বানানোর জন্য ১ চামচ গাঁদা ফুলের পাপড়ি বেটে তার সঙ্গে ১ চামচ টক দই, ১ চামচ গোলাপ জল এবং ১/২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। প্রত্যেকটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং তারপর মুখে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।