শীতের মরশুমে খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন প্রায় অনেকেই। খুশকি দূর করতে ব্যবহার করুন বেদানার খোসা। জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন এই উপাদান।
স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে কিংবা যে কোনও শারীরিক জটিলতা দূর করতে আমরা অনেকেই ভরসা রাখি বেদানার ওপর। বেদানা স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করে থাকেন বেদানা। এবার বেদানার সঙ্গে বেদানার খোসা ব্যবহার করুন। শীতের মরশুমে খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন প্রায় অনেকেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কেউ ব্যবহার করুনে বাজার চলতি পণ্য। কেউ ব্যবহার করেন বিশেষ শ্যাম্পু। তো কেউ ব্যবহার করেন ঘরোয়া টোটকা। এবার খুশকি দূর করতে ব্যবহার করুন বেদানার খোসা। জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন এই উপাদান।
বেদানার খোসা চুলের নানান সমস্যা দূর করে থাকে। বেদানা কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার তা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তেলের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন বেদানার খোসা। এবার তা স্ক্যাল্পে লাগান। ভালো করে ম্যাসাজ করুন। নির্দিষ্ট সময় পর শ্যাম্পু করে নিন। মিলবে উপকার। খুশকি দূর হবে মুহূর্তে। চুলের যত্নে বেশ উপকারী এই টোটকা। সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন। এতে মিলবে উপকার।
তেমনই খুশকির সমস্যা দূর করতে একাধিক ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে পারেন। নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন কর্পূর। এতে মিলবে উপকার। কর্পূর প্রথমে গুঁড়ো করে নিন। এবার তা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই তেল দিয়ে মালিশ করুন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।
নিমপাতা ও নারকেল তেল দিয়ে বানিয়ে নিন প্যাক। প্রথমে নিমপাতা বেটে নিন। এবার সেই পেস্টের সঙ্গে মেশান নারকেল তেল। ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি স্ক্যাল্প থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত লাগান। চুল বেঁধে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। অন্তত ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এই প্যাক। খুশকি দূর হবে এই প্যাকের গুণে। সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করুন এই প্যাক। নিমপাতার অ্যান্টি বায়োটিক উপাদানে পূর্ণ। অ্যান্টি ফাঙ্গাল এই উপাদান খুশকি দূর করে থাকে।
তেমনই বেকিং সোডা ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। অন্তত ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এই প্যাক। খুশকি দূর হবে এই প্যাকের গুণে। ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহারে মিলবে উপকার। এছাড়াও ব্যবহার করুন বেদানার খোসা। এতে মিলবে উপকার। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন ব্যবহার করুন এই সকল প্যাক।
আরও পড়ুন-
মাত্র ১৫ দিনে সুগার লেভেল স্বাভাবিক করতে, দৈনন্দিন জীবন থেকে এই ৫টি জিনিস বাদ দিন
ওজন দ্রুত বাড়ছে এবং অতিরিক্ত ক্ষুধা ও নার্ভাসনেস আছে, এটা কি তবে থাইরয়েড
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢ্যাঁড়সের জল খেতে পারেন, দ্রুত মিলবে উপকার