সংক্ষিপ্ত

এজন্য সব সময় বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। তবে প্রতিদিনের খাবার ও পানীয়তে যদি কিছু বিশেষ বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা হয়, তাহলে আপনি আপনার রক্তে শর্করা আজীবন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন…

 

ডায়াবেটিসের কারণে যে সমস্যাগুলো হয়, তারা খুব ভালো করে বুঝতে পারেন, যারা নিজেরা এই রোগের শিকার বা যাদের বাড়ির কেউ এই রোগে আক্রান্ত। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় প্রস্রাবের সঙ্গে। কোনও চোট থাকলে তা সারতে অনেক সময় লাগে। এজন্য সব সময় বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। তবে প্রতিদিনের খাবার ও পানীয়তে যদি কিছু বিশেষ বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা হয়, তাহলে আপনি আপনার রক্তে শর্করা আজীবন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন…


রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

আপনি চাইলে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আপনার দৈনন্দিন জীবন থেকে এই ৫টি জিনিস বাদ দিতে হবে। এই নিয়মগুলি সব বয়সের ডায়াবেটিস রোগীরা গ্রহণ করতে পারেন।

চিনি, সাদা দই, ময়দা এবং গ্লুটেন সমৃদ্ধ জিনিস।

খাওয়ার পর ঘুমানোর অভ্যাস

দেরিতে রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাস

অলস জীবনধারা ত্যাগ করতে হবে

অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বড়ি থেকেও দূরে থাকুন

 

কিভাবে সুবিধা পাবেন?

প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ মিনিট হাঁটা, যোগব্যায়াম বা সাইকেল চালানো এবং কমপক্ষে ২০ মিনিট শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে আপনার শরীর আশ্চর্যজনক সুবিধা পায়।

সক্রিয় থাকলে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ে, যার ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ভালো থাকে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল লিভারের শরীরকে ডিটক্সিফাই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ইনসুলিন নিঃসরণ ঠিক থাকে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আপনি যদি ১৫ দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে চান, তবে আপনাকে প্রতিদিন এই দুটি কাজ করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিন আপনার জন্য ১ ঘণ্টা বের করতে হবে।


খাওয়ার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন

আপনাকে সাদা চিনি, সাদা ময়দা এবং সাদা দই এগুলোর পরিবর্তে ফল, শুকনো ফল, বেরি ইত্যাদি খেতে হবে।

গরুর ঘি ও গরুর দুধও প্রতিদিন সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।

বাজরা, রাগি, আমলান বীজ, ওটমিল, স্প্রাউট ইত্যাদি প্রতিদিন খেতে হবে।

গভীর রাতে ডিনার করা এড়িয়ে চলুন। সূর্যাস্তের সময়েই রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাবেন না। ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান এবং রাতের খাবারের আধা ঘণ্টা পর ধীরে ধীরে হাঁটুন। মাত্র ১৫ দিনের জন্য এই কাজটি করে দেখুন, ফলাফল আপনাকে অবাক করে দেবে।