
Fashion Tips: আজকাল বাজারে বিভিন্ন রকম জুয়েলারি বেরিয়েছে। সোনা রুপোর দাম তো প্রায় আকাশ ছোঁয়াই। এই দুর্মূল্যের বাজারে সোনা কেনার ক্ষমতা মধ্যবিত্ত পরিবারের নেই বললেই চলে। বিভিন্ন রকম আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারির এত সম্ভার হয়েছে যার জন্য শাড়ি পরুন বা ওয়েস্টার্ন কোন পোশাক খুব সহজেই এই জুয়েলারিগুলির সাথে মিক্স এন্ড ম্যাচ করে পড়তে পারেন।
তাই এবার কোনও অনুষ্ঠান হোক কিংবা পুজোর ফ্যাশন, সোনার রুপোর গয়না বাদ দিয়ে এবার চাহিদা বাড়ছে হ্যান্ডমেড জুয়েলারির। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই পুজোর ফ্যাশনে ছিল ক্লে অথবা ফেব্রিক জুয়েলারি। তবে এবার পুজোতে নতুন ফ্যাশন! দামে কম এবং অত্যন্ত হালকা এই জুয়েলারির চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। এতটা পরিচিত না হলেও সূক্ষ্ম কাজ এবং শিল্প ভাবনা ও নিপুণতা পুজোর ফ্যাশনে ট্রেন্ডিং হয় দাঁড়িয়েছে।
পুজোতে এবার ব্যবহার করুন এমব্রয়ডারি জুয়েলারি। বাড়িতে অন্যান্য কাজ সামলে স্বনির্ভর হচ্ছেন অনেক গৃহবধূ। তাই তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের এমব্রয়ডারি জুয়েলারি। প্রতিমাসে মিলছে রোজগারও।
দিন দিন বদলাচ্ছে মানুষের চাহিদা ও রুচিবোধ। সোনা রুপোর ভারী গয়নার পরিবর্তে মানুষের চাহিদা বেড়েছে হাতে তৈরি কাস্টমাইজ বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড জুয়েলারিতে। বাড়িতে বসেই গৃহবধূ তৈরি করছেন নতুন ধরনের এই জুয়েলারি। ক্লে কিংবা জাঙ্ক জুয়েলারি নয়, এবার সামান্য রঙিন সুতো দিয়ে তৈরি করছেন নানান সুন্দর সুন্দর গয়না। গলার হার থেকে কানের দুল, এমনকি হাতের চুড়ি ও হেয়ার ব্যান্ডেও থাকছে এমব্রয়ডারির কাজ।
কোথায় পাবেন এই জুয়েলারি:
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের ধনেশ্বরপুর এলাকার এক গৃহবধূ মৌমিতা জানান, বাড়ির অন্যান্য কাজের অবসরে এই ধরনের এমব্রয়ডারি জুয়েলারি বানিয়ে বিক্রি করছেন অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে। মূলত পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে তার হাতে তৈরি এই সমস্ত জুয়েলারি। দাম রয়েছে মাত্র ২৫ টাকা থেকে প্রায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
খুবই হালকা এবং বিভিন্ন ড্রেসের সাথে পড়ার জন্য খুবই উপযুক্ত এই গহনা গুলি।শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রঙিন সুতোয় কাজ করা থাকলে দেখতে অসাধারণ লাগে। বেশ কয়েক মাস ধরেই নিজের ছোটবেলার শখ ও শেখাকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি তার ব্যবসায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।