
চুল পড়া, অকালপক্কতা, খুশকি কিংবা চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া—আজকাল অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। বাজারচলতি নানা কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করেও অনেক সময় ফল মেলে না। অথচ ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক কিছু উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলেই মিলতে পারে আশ্চর্যজনক ফলাফল।
তেমনই একটি উপাদান হলো কিশমিশ। ড্রাইফ্রুটস হিসেবে খাওয়ার সময় বা রান্নায় দেওয়ার সময় কিশোমিশ ভিজিয়ে রেখে যে জল বেরোয়, তা চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। চুলের গোড়া ভালো থাকে।
১। চুল পড়া কমায়
কিশমিশে থাকা আয়রন স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং অতিরিক্ত চুল পড়া অনেকটাই কমে যায়।
২। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
এই জলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন বি স্ক্যাল্পে পুষ্টি সরবরাহ করে। এর ফলে নতুন চুল গজানো শুরু হয় এবং পুরনো চুল হয় আরও ঘন ও মজবুত।
৩। অকালপক্কতা রোধ করে
চুল পাকা বন্ধ করতে ভিটামিন সি ও পলিফেনলস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিশমিশ ভেজানো জল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে।
৪। চুল রাখে হাইড্রেটেড ও চকচকে
এই জল রুক্ষ, জট পড়া চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। খুশকি, স্ক্যাল্পের শুষ্কতা ইত্যাদিও দূর করে।
* হাতে সময়ের অভাব থাকলে আগের দিন রাতের বেলায় এক কাপ জলে ১০–১৫টি কিশমিশ শুধু ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন শ্যাম্পু করার পর সেই জল মাথার স্ক্যাল্পে অল্প অল্প করে দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নিন। ১০–১৫ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। চুল মজবুয়া ঝলমলে হয়ে উঠবে।
* হেয়ার প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে কিশমিশ ভেজানো জল, টক দই, নারকেল তেল ও মেথি গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। চুলে ৩০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১–২ বার এই হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন ভালো ফল পেতে।