কিডনি রোগীদের পটাশিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবারগুলি যথাসম্ভব ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিডনি রোগীদের পটাশিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবারগুলি যথাসম্ভব ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া উচিত এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। একটি অ্যাভোকাডোতে প্রায় ৬৯০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম বেশি থাকায় কিডনি রোগীদের অ্যাভোকাডো বেশি খাওয়া উচিত নয়।
২. দুগ্ধজাত খাবার
চিজ, মাখন, ক্রিম ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাবারে ফসফরাস, পটাশিয়াম বেশি থাকে। তাই কিডনি রোগীদের এগুলির ব্যবহার সীমিত করা উচিত।
৩. প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংসে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। ফসফরাস, সোডিয়াম বেশি থাকায় কিডনি রোগীদের প্রক্রিয়াজাত মাংস ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
৪. টমেটো
প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ টমেটো বেশি খাওয়া কিডনি রোগীদের জন্য ভালো নয়।
৫. কমলালেবু
কমলালেবু এবং কমলার রসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। একটি বড় কমলালেবুতে ৩৩৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
৬. আচার
আচারে সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই কিডনি রোগীদের আচার যথাসম্ভব ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
৭. সোডা এবং কোলা
প্রচুর পরিমাণে চিনিযুক্ত সোডা এবং কোলা বাদ দেওয়া কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী।
৮. মদ্যপান
কিডনির স্বাস্থ্য এবং শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত মদ্যপান ত্যাগ করা উচিত।
মেনে চলুন এই সকল টিপস। এতে মিলবে উপকার। শরীর থাকবে সুস্থ। এই কয়টি খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। আপনার শরীরে নানান জটিলতা তৈরি করে থাকে। অ্যাভোকাডো, দুগ্ধজাত খাবার আর খাবেন না। বেশি খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। তেমনই বেশি কমলালেবু, আচার, সোডা ও কোলা বাদ দিন। খাবেন না টমেটো ও প্রক্রিয়াজাত মাংস। এতে শরীরে নানান জটিলতা দেখা দেবে। মেনে চলুন এই সকল টোটকা। শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক খাবার খান।