
সারা বছর মিষ্টি না খেলেও পুজোর সময়ে বাড়িতে মিষ্টি রাখতে হয়। আর পূজোর পাঁচটা দিন শেষে যখন দশমী আসে মায়ের যাওয়ার মধ্যেও মন বিষাদে ভরে ওঠে কিন্তু বাঙালির রীতিনীতি মেনে চলতেই হয় তাই এই বিজয়া দশমীতে ঘরে একটু মিষ্টি নিমকি না থাকলে চলে না। কারণ পুজোর পাঁচটা দিন তো থাকেই তারপরেও বিজয়া দশমীর দিন মিষ্টিমুখ করা অতি বাঞ্ছনীয়। আত্মীয়, বন্ধু, পরিচিত— সমাগম লেগেই থাকে। তাঁদের জন্য দোকান থেকে হরেক রকম মিষ্টি কিনতে পারেন। তবে হাতে একটু সময় থাকলে বাড়িতে বাংলার প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি মিষ্টি তৈরি করে ফেলতে পারেন। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
* চার কাপ ময়দা, * অর্ধেক টেবিল চামচ নুন, * তিন টেবিল চামচ ঘি, * এক কাপ চিনি, * এক কাপের অল্প কম জল, * দু কাপ তেল, * ৪টে এলাচ ও এক টুকরো লেবু।
১. গজা বানাতে প্রথমেই একটি ডো বানিয়ে নিতে হবে। এর জন্য একটি পাত্রে চার কাপ ময়দা, অর্ধেক টেবিল চামচ নুন, তিন টেবিল চামচ ঘি নিয়ে নিতে হবে। ঘি গজাকে খাস্তা ও মচমচে করে তুলবে। এবার সব কিছু মিশিয়ে ভালো করে ময়ান দিয়ে নিতে হবে।
২. লুচি, রুটির তুলনায় একটি শক্ত মণ্ড করতে হবে। এবার এতে এক কাপ জল দিতে হবে। এবার এটি ৩০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন।
৩. এবার একটি কড়াইয়ে এক কাপ চিনি ও এক কাপের থেকে একটু কম জল নিয়ে নিন। এই জলের মধ্যে ৪টে এলাচ ও লেবু দিয়ে দিন। এবার ফুটে সিরা তৈরি করে নিতে হবে। সিরা খুব বেশিও হবে না, কমও হবে না। বেশি হলে গজা সিরার জন্য নরম হয়ে যাবে। আবার কম হলে ঠিকমতো মিষ্টি হবে না।
৪. এবার মণ্ডটি ফের মেখে ছুরি দিয়ে কেটে সেখান থেকে লেচি বানিয়ে ফেলতে হবে। এই লেচি লুচির মতো করে বেলে নিন। তারপর মাঝে মাঝে ছুরি দিয়ে ১ সেন্টিমিটার ফাঁক রেখে চিরে নিন। শুধু খেয়াল রাখুন যাতে ধারের দিক পর্যন্ত যাতে ছুরি না যায়। এবার এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত রোলের মতো মুড়িয়ে নিলেই তৈরি গজার শেপ।
৫. এবার একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে এই গজাগুলি ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে এলে চুবিয়ে দিন চিনির সিরায়। তাহলেই তৈরি এলো ঝেলো গজা।