শীতকালে নলেন গুড়ের মোয়া বহুল প্রচলিত, কিন্তু কিভাবে এই মোয়া এলো জানেন কি?

Published : Dec 12, 2025, 03:54 PM IST
Christmas surprise Joynagars Moya is now being sold in the form of cakes bsm

সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জয়নগরের মোয়া তার অতুলনীয় স্বাদ ও গুণমানের জন্য দেশ-বিদেশে বিখ্যাত। এটি কেবল একটি মিষ্টি নয়, এটি বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

শীতের মিষ্টি মোয়ার জন্ম ১৯ শতকের শেষ দিকে। সম্ভবত জয়নগর- মজিলপুরের পূর্ণচন্দ্র ঘোষ নামে এক দরিদ্র মিষ্টি বিক্রেতা এর উদ্ভাবক। যা স্থানীয়ভাবে শুরু হয়ে আজ দেশজুলেও বিখ্যাত; এটি মূলত খেজুরের গুড়, মুড়ি ও তিলের সংমিশ্রণে তৈরি হয়, যা শীতের উষ্ণতা ও পুষ্টি জোগায়।

** মোয়ার জন্মকথা: লোককথা ও ইতিহাস

উদ্ভাবক ও সময়কাল: প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, উনিশ শতকের শেষ দিকে (১৮৯০ সালের আশেপাশে) জয়নগর-মজিলপুরের পূর্ণচন্দ্র ঘোষ নামক এক দরিদ্র মিষ্টি বিক্রেতা মোয়া তৈরি করা শুরু করেন, যা প্রথমে স্থানীয় বাজারেই পরিচিত ছিল।

শীতের প্রয়োজন: শীতকালে শরীর গরম রাখতে এবং শক্তি জোগাতে এই মিষ্টির প্রয়োজন হয়, যা খই, গুড় ও তিলের মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি হওয়ায় স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর।

** কীভাবে মোয়া তৈরি হয় (ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি):

মোয়ার ইতিহাস ও সৃষ্টি (১৮৯০ সাল থেকে) : মোয়ার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন হলেও, জয়নগরের মোয়ার আধুনিক এবং জনপ্রিয় রূপটি প্রায় ১৩০ বছর পুরোনো।

সৃষ্টির পটভূমি: লোকমুখে প্রচলিত যে, ১৯ শতকের শেষ দিকে (আনুমানিক ১৮৯০ সালের আশেপাশে) জয়নগর-মজিলপুরের এক দরিদ্র মিষ্টি ব্যবসায়ী পূর্ণচন্দ্র ঘোষ এই মোয়া তৈরি শুরু করেন। প্রথমে এটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছিল।

মূল উপাদান: মোয়া তৈরির প্রধান দুটি উপাদান হলো কনকচূড় ধান থেকে তৈরি খই এবং শীতকালে পাওয়া নলেন গুড় (খেজুর গুড়ের বিশেষ ও উন্নত রূপ)। কনকচূড় খই ছিল সহজলভ্য এবং সুগন্ধযুক্ত, যা মোয়াকে একটি স্বতন্ত্র স্বাদ দিত।

প্রাথমিক জনপ্রিয়তা: পূর্ণচন্দ্র ঘোষের মোয়া তার সুগন্ধ এবং নরম, অথচ দৃঢ় গঠনের কারণে দ্রুত খ্যাতি অর্জন করে। প্রথমদিকে ছোট ভাঁড়ে এটি বিক্রি হলেও, ধীরে ধীরে এর চাহিদা বাড়ে।

আকার দেওয়া: মিশ্রণটি গরম থাকা অবস্থাতেই হাতে গোল গোল বা মোয়ার আকার দেওয়া হয়, যা ঠান্ডা হলে শক্ত হয়ে যায়।

** শীতকালে মোয়ার গুরুত্ব: শীতের তীব্র ঠান্ডা থেকে বাঁচতে এই মোয়া শরীরে উষ্ণতা দেয়। মুড়ি, গুড় ও তিল উচ্চ ক্যালোরি ও পুষ্টির উৎস, যা শীতের কর্মঠ জীবনের জন্য অপরিহার্য। সুতরাং, মোয়া শুধু একটি মিষ্টি নয়, এটি বাঙালির শীতকালীন ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা শীতের দিনে উষ্ণতা ও আনন্দের জোগান দেয়।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

চিংড়ি দিয়ে খুব সহজে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু রেসিপি দাহেবু, রইল পদ্ধতির হদিশ
Year Ending 2025: ১০ লাখের বার্গার থেকে সোনার পিৎজা- দেখে নিন চলতি বছর কোন কোন দামি খাবার নজর কেড়েছে