
Health benefits of jaggery: স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা এখন চিনির বদলে বেছে নিচ্ছেন গুড় বা Jaggery। প্রাকৃতিক, খনিজসমৃদ্ধ ও কম প্রক্রিয়াজাত হওয়ায় গুড় চিনির ভালো বিকল্প বলেই সবাই জানে। বিশেষ করে শীতকালে গুড়ের ব্যবহার বাড়ে। পায়েস, চা, লাড্ডু, এমনকী ডায়েট ড্রিঙ্কেও গুড় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি, এই স্বাস্থ্যকর বিকল্পটিও অতিরিক্ত খেলে শরীরে সমস্যা তৈরি করতে পারে? তাই গুড় খাওয়ার আগে তার গুণাগুণ ও সঠিক ব্যবহার জানা জরুরি।
বলা হয়, গুড় ‘মেডিসিনাল সুগার’। চিনির চেয়ে গুড়ে ক্ষতি ঢের কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ করণ সারিন বিশ্লেষণ করে বলছেন, 'চিনি হল খাঁটি সুক্রোজ যা গ্লুকোজের অপর এক রূপ। কিন্তু গুড়ের মধ্যে খনিজ পদার্থ রয়েছে। মিষ্টির পাশাপাশি আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও শরীরে প্রবেশ করে। সেইসঙ্গে গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। তাতে শরীরের ক্যালোরি বার্ন ভালো হয়। কখনও কখনও শুধুমাত্র মিষ্টত্বের উপাদান বাদেও তা ব্যবহার করা হয় পুষ্টিকর উপাদান হিসেবে।'
শীতকালে ঠান্ডা রুখতে ও শরীর গরম রাখতে গুড় খাওয়া হয়। হজমে সহায়ক তাই খাবারের পর অল্প পরিমাণে গুড় খাওয়া যায়। রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রে আয়রনের ঘাটতি পূরণেও গুড় খাওয়া যেতে পারে। পায়েস, চাটনি, চায়ে স্বাদবর্ধক হিসেবেও গুড় খাওয়া যেতে পারে।
পুষ্টিবিদ করণ ব্যাখ্যা দেন, ‘যাঁদের ডায়বেটিস রয়েছে, নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয় তাঁদের জন্য কিন্তু চিনির মতোই গুড়ও বিপজ্জনক হতে পারে। মনে রাখতে হবে, দিনের শেষে আসলে আপনার শরীরে কিন্তু মিষ্টিই ঢুকছে। ক্যালোরির হিসেব করলে ৬৫ থেকে ৯০ শতাংশ সুক্রোজ থাকে গুড়ে, যা প্রায় চিনির সমান। তবে এই উপকরণটি হজম করা সহজ। আর সেখানেই চিনির চেয়ে গুড় এগিয়ে।’ সবদিক বিবেচনা করে যদি আপনিও চিনির বদলে গুড় খাচ্ছে এটি ভালো বিকল্প ঠিকই, তবে আখেরে লাভ খুব একটা বেশি নয়। প্রয়োজন সার্বিকভাবে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা। বিশেষ করে ডায়াবেটিক, স্থূলতা, ইনসুলিন গ্রহণ করা ব্যক্তিরা চিনি হোক বা গুড়, দুইয়ের থেকেই দূরে থাকবেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।