
আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, ঠাকুরমশাইকে ডেকেই হোক কিংবা ঠাকুরের আসনে নিজেই পাঁচালী পড়ে বাঙালির ঘরে ঘরে আজ এই লক্ষ্মীপুজো পালন করে থাকেন। পুজো মানেই ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন। কেউ বাজার থেকে ফল-মিষ্টি কিনে এনে কেউ আবার বাড়ির হেঁশেলেই ভোগ বানিয়ে ঠাকুরকে নিবেদন করতে ভালবাসেন। সমৃদ্ধি এবং সংসারের শ্রীবৃদ্ধির আশায় প্রায় বেশিরভাগ গৃহস্থ বাড়িতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। ধূপ, দীপ জ্বালিয়ে , আলপনা দিয়ে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করা হয়।
পাঁচালী পড়ে মা কে আহ্বান করা হয়।সাথে থাকে পঞ্চব্যঞ্জন। এদিন বাড়ির গৃহিণীরা মা এর ভোগ হিসাবে খিচুড়ি , লাবরা, পায়েস, কেউ বা লুচি , সুজি, পায়েস, কেউবা পোলাউ , আলুরদম রান্না করে মা কে ভোগ দেন। আসুন জানা যাক মায়ের ভোগে কি কি রাখা যায়:
* দেবী লক্ষ্মীকে অবশ্যই অর্পণ করুন খই, মুড়কি। নারকেলের নাড়ু দিন। প্রায় সকলেই এই গুলো দিয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই দেবীকে পুজোর দিন খইয়ের নাড়ু, মুড়ির মোয়া, চিঁড়ের মোয়াও দিতে পারেন।
* পুজোর আগের রাতে ছোলা, মুগ, রমাকলাই ভিজিয়ে রাখুন। ওই ভেজানো ছোলা, মুগ, রমাকলাই দেবীকে দিতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই মুগডালের বড়া দিতে পারেন।
* প্রসাদ হিসাবে দেবীকে দিতে পারেন নানা ধরনের ফল। সঙ্গে মিষ্টি তো থাকবেই।
* এবার আসি ভোগের প্রসঙ্গে। দেবীকে নিজের হাতে রান্না করা খিচুড়ি ভোগ দিতে পারেন। বাসন্তী পোলাও রান্না করেও দেবীকে অর্পণ করেন অনেকেই।
* খিচুড়ি কিংবা বাসন্তী পোলাও যা-ই দেন না কেন, সঙ্গে দিন পাঁচ কিংবা তিন রকমের ভাজা। তরকারি হিসাবে লাবড়া কিংবা আলুরদম দিতে পারেন। নিরামিষ পনিরের কোনও খাবারও ভোগ হিসাবে দেবীকে নিবেদন করতে পারেন।
* ভোগের থালা সাজিয়ে চাটনি দিতে ভুলবেন না। তাতে ভোগের থালা অসম্পূর্ণ থাকে।
* আর অবশ্যই পায়েস দিতে হবে। যা অন্নভোগ হিসাবে মূলত গ্রাহ্য হয়। সঙ্গে দিতে পারেন খিলি করা পান।