
Rathyatra Special Food: শুক্রবার রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্ল তিথিতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ঘিরে মহা ধুমধাম চলে চারিদিকে। রথের সময় আবার জগন্নাথ প্রভুকে নানারকম ভোগ দিয়ে ৫৬ ভোগের মহাপ্রসাদ নিবেদন করা হয়। কথিত আছে, প্রথমে সেই প্রসাদ মহাপ্রভুকে নিবেদন করা হয়। তারপর তা বিমলা দেবীকে নিবেদন করা হয়। সেই প্রসাদই তারপর ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এই প্রসাদ মন্দিরের পাকশালায় কাঠকয়লায় তৈরি করা হয়। এছাড়াও পাকশালায় ৫৬ ধরনের ভোগ রান্না করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে নানারকম অন্ন, খিচুড়ি, ল্যাবড়া সহ মিষ্টি-পিঠে ইত্যাদি।
জগন্নাথদেবের রথযাত্রার সময় অনেকেই আবার বাড়িতে জগন্নাথদেবের পুজো দেন। বাড়িতেও প্রভুর পুজোর সময় আপনি চাইলে এই রেসিপি ব্যবহার করে ভোগ রান্না করে জগন্নাথদেবকে নিবেদন করতে পারেন। কারণ, জগন্নাথদেবের প্রতিটি ভোগই নিরামিষ। পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া শুদ্ধ। তাহলে আসুন আজ জেনে নেই জগন্নাথদেবের ভোগের স্পেশ্যাল পিঠের রেসিপি।
জগন্নাথদেবের ভোগের এন্ডুরি পিঠে:- জানুন এই পিঠে বানানোর রেসিপি-
উপকরণ:- ১ কাপ চাল ভিজিয়ে রেখে সেটা বেটে নিতে হবে।
হাফ কাপ বিউলির ডাল। ভিজিয়ে রেখে সেটা বেটে নিতে হবে।
১ কাপ নারকেল কোড়া, হাফ কাপ গুড়
২ টেবিল চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ ঘি
হলুদ পাতা সামান্য (সুগন্ধের জন্য)
প্রণালি:-
পুর তৈরির জন্য প্রথমেই কড়াইতে ঘি গরম করে নারকেল কোড়া ও গুড় দিন। ভালো করে নাড়তে, নাড়তে মিহি করে মিশিয়ে নিন। গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ঠান্ডা করে নামিয়ে রাখুন। এবার ব্যাটার তৈরির জন্য চাল ও ডাল একসঙ্গে বাটুন। এবং ভালো করে মেশান। চাইলে ৫-৬ ঘন্টা রেখে ফারমেন্ট করিয়ে নিতে পারেন।
পিঠে বানানোর জন্য কী করবেন?
প্রতিটি হলুদের পাতা ধুয়ে নিন। এবার হলুদের পাতার উপর পুরু করে ব্যাটার ঢালুন। ব্যাটারের মাঝখানে নারকেলের পুর দিয়ে পাতা সুন্দর করে ভাঁজ করুন। এরপর স্টিমারে বা ফুটন্ত জলের উপর পাতাগুলি রেখে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভাপাতে দিন। ভাপানো হয়ে গেলে দেখবেন পাতার মোড়ক খুলে নিয়ে যাওয়া যাবে। তখন তা খুলে নিবেদন করুন প্রভুকে। হলুদ পাতার গন্ধে এই পিঠে এনে দেয় একেবারে অপূর্ব স্বাদ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।