
Bengali Traditional Food: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যত আধুনিক হচ্ছি আমরা ততই হারিয়ে যাচ্ছে একান্নবর্তী সংসার থেকে শুরু করে ঠাকুরমা-দিদাদের সাধের হেঁশেলের নানারকম পদের রান্না। আগেকারদিনে বেঁচে থাকা, ফেলে দেওয়া উপকরণ দিয়েও কী সুন্দর ম্যাজিকের মতোন সুস্বাদু খাবার বানিয়ে ফেলতেন ঠাকুরমা-দিদিমারা। এখন সেসন অতীত। খুব একটা খোঁজ পাওয়া যায় না হারানো সেই রান্নার। আসুন তাহলে আজ জেনে নিন পুরনো দিনের সেই এক অসাধারণ হালকা পাতলা ঝোল বড়ার ঝোলের মনোমুগ্ধকর রেসিপি। যা রান্না করলে খাবারে আপনাকে তৃপ্তি দিতে বাধ্য। রইল রেসিপি।
কীভাবে রাঁধবেন ঝোল বড়াল ঝোল?
এর জন্য প্রথমেই যে উপকরণগুলি লাগবে সেগুলি হল- ৭/৮টা কুমড়ো পাতা, ২০০ গ্রাম মটর ডাল,
ডুমো ডুমো করে কাটা আলু দুমুঠো, বেগুন লম্বা করে কাটা ৫ থেকে ৬ টুকরো।
পটল লম্বা করে কাটা ১ মুঠো বা পরিমাণ মতোন।
১ মুঠো ডাঁটা, ১ মুঠো বরবটি টুকরো টুকরো করে কাটা
কাঁচালঙ্কা ৪টে, শুকনো লঙ্কা ৩টে। ঝাল কম খেতে চাইলে আন্দাজ মতো লঙ্কা দিতে হবে।
হলুদ গুঁড়ো সামান্য, ফোড়নের জন্য কালোজিরে।
নুন-হলুদ এবং সর্ষের তেল পরিমাণ মতোন। চিনি সামান্য।
রান্নার প্রণালি:-
নরম পাতলা এই সুস্বাদু ঝোল রান্না করতে হলে প্রথমেই মটর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ভেজানো ডাল অল্প অল্প জল দিয়ে মিক্সি বা শিলনোড়াতে ভালো করে মিহি করে বেটে ফেলুন। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী নুন আর সামান্য চিনি দিয়ে ওই ডালের মিশ্রণ ভালো করে মেখে নিন। ডাল বাটা যাতে পাতলা না হয় সেদিকে নজর রাখবেন। এরপর কড়াই আঁচে বসিয়ে পাত্রে জল গরম করুন। তার মধ্যে একটু হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে গুলে নিন। এরপর আলু ও সজনের ডাঁটা দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রান্না করুন। তারপর তাতে পটল দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। তারপর বরবটি দন। পাঁচ মিনিট মতোন রান্না করার পর কড়াইতে দিয়ে দিন কুমড়ো ও বেগুন। এরপর তাতে আন্দাজ মতোন কাঁচালঙ্কা মেশান।
এবার ঝোল বড়ার ঝোল রান্না করতে হবে। তার জন্য যেগুলি করতে হবে তা হল- আগে থেকে মিহি করে বেটে রাখা বড়ার মিশ্রণ হাতে নিয়ে অল্প অল্প করে ফুটন্ত ঝোলের মধ্যে ছাড়ুন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে দুটো বড়া কাছাকাছি গায়ে লেগে না যায়। এবং কড়াইতে বড়া দেওয়ার সময় খুন্তি দিয়ে কখনই ঝোল নাড়বেন না। কয়েকটি বড়া দেওয়া হলে মিনিট পাঁচেক ঢাকা দিয়ে তারপর রান্না করুন। এরপর ঢাকনা খুলে দেখুন বড়াগুলো অনেকটাই জমে গিয়েছে। একইভাবে তখন আরও কিছু বড়া ঝোলে ছাড়ুন। এবং ফের তা একইভাবে ঢাকা দিয়ে জমতে দিন। তারপর আবার ঢাকনা খুলে দেখুন যে সবজিগুলো সিদ্ধ হয়েছে কিনা। এবং সব বড়াই জমে এসেছে কিনা। এবার কড়াই উনুন থেকে নামিয়ে নিন। এবং রান্নার শেষ পর্যায়ে যান।
এরজন্য অন্য একটি কড়াইতে পরিমাণ মতোন সর্ষের তেল, কালোজিরা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। ফোড়নের গন্ধ বেরলে আগে থেকে রান্না করে রাখা এই ঝোল কড়াইতে ঢেলে দিন। খুব সাবধানে হালকা করে নাড়ুন। সমস্ত কিছু সবজি ফুটে উঠলে সামান্য চিনি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। এটি নিরামিষ রান্না হওয়ায় হালকা মিষ্টি স্বাদ বেশ ভালো লাগবে খেতে। তাহলে আর কী? গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন নিরামিষ ঝোল বড়ার ঝোল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।