
বার্ড ফ্লুর-এর এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে খবর ভাইরাল হচ্ছে। অনেকেই পোস্ট করছে যে যদি তুমি মুরগি খাও, তাহলেই বার্ড ফ্লু হবে। এর ফলে মুরগির দাম মারাত্মক ভাবে কমে গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এক কেজি মুরগির দাম মাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, এই ধরণের সময়ে মুরগি খাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকা খুবই সাধারণ। অন্যান্য এলাকার মানুষও মুরগি খেতে দ্বিধাগ্রস্ত। তবে, মুরগি পরিষ্কার এবং রান্না করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে কোনও সমস্যা হবে না। যদি তাই হয়..
আগে মুরগি কিনুন। গ্লাভস পরুন এবং কেটে ফেলুন। গ্লাভস ব্যবহার করে, মুরগির টুকরোগুলো খুলে একটি পাত্র বা প্যানে রান্না (অথবা ভাজার) জন্য রাখুন। ঠিক যেমন তুমি মুরগি বানাবে - কোন পার্থক্য নেই। যদি আপনার হাতে গ্লাভস না থাকে, তাহলে মুরগি কাটার পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
একমাত্র পার্থক্য হল, যদি আপনার মনে হয় কাঁচা মুরগির মাংসে ভাইরাস আছে, তাহলে আপনি হাত ধুয়ে ফেলবেন। তেল বা জলের তাপে ভাইরাস মারা যায়।শুধু একটা জিনিস মনে রাখতে হবে মুরগির মাংস কাটা হাত দিয়ে অন্য খাবার স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়ার ফলে হাতের ভাইরাস মারা যায়। রান্নার তাপ প্যানের মুরগির ভাইরাসকে মেরে ফেলে। তারা অকারণেই মিথ্যা প্রচারণা ছড়ায়। এর প্রভাবে মুরগির দাম কমে গেছে। মুরগি খাওয়ার জন্য এটা ভালো সময়। মুরগি কাটার সময়, হাত দিয়ে মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শ করবেন না। সাবান দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলুন। যদি গ্লাভস ব্যবহার করেন, তাহলে আবর্জনার ঝুড়িতে ফেলে দিন। গ্লাভস ব্যবহার করলেও, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। ততক্ষণ পর্যন্ত, অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ করবেন না।
দ্রষ্টব্য: উপরের তথ্যগুলি কেবল মৌলিক তথ্য হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করাই ভালো।