উচ্চ কোলেস্টেরল এড়াতে, আপনি আদা খেতে পারেন, এতে জিঞ্জেরল এবং শোগাওল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই আদা ব্যবহারের ৫টি স্বাস্থ্যকর উপায়।
যদি আপনার রক্তনালীতে খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়, তাহলে তা হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত মারাত্মক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসলে, ধমনীতে প্লাক জমে যাওয়ার কারণে ব্লকেজ দেখা দেয়, তারপর রক্তকে হার্টে পৌঁছানোর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, এই অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে, এটি হার্ট অ্যাটাক করে, যার কারণে অনেকের মৃত্যুও হয়। ঘটে উচ্চ কোলেস্টেরল এড়াতে, আপনি আদা খেতে পারেন, এতে জিঞ্জেরল এবং শোগাওল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই আদা ব্যবহারের ৫টি স্বাস্থ্যকর উপায়।
১) কাঁচা আদা কাঁচা আদা
আপনি কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন, যারা বেশি ভাজা এবং মশলাদার খাবার খান তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আদার স্বাদ জিভকে অনেকটা কাঁপিয়ে দেয়, তাই আপনি এটিকে এভাবে খেতে পছন্দ করেন না, যদিও এই পদ্ধতিটি কোলেস্টেরল কমাতে খুবই কার্যকরী।
২) আদার জল আদার জল
যারা নিয়মিত আদার জল পান করেন তারা এই মশলার পূর্ণ উপকারিতা পান, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এ জন্য আদা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে গরম জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর ফিল্টার করার পর হালকা গরম হলে পান করুন। খাওয়ার পর আধা কাপ আদা জল পান করতে পারেন।
৩) আদা ও লেবুর চা আদা ও লেবুর চা
যারা নিয়মিত আদা চা পান করেন, তাদের শরীরের চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে এবং বেড়ে যাওয়া কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে আসে। বিশেষ করে যারা তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার বেশি খান, তাদের জন্য এই চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪) আদা পাউডার
দীর্ঘ সময় ধরে আদা সংরক্ষণ করার উপায় হল এটিকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে কয়েক দিন রোদে শুকিয়ে নিন, এখন এটিকে একটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে ভালো করে পিষে গুঁড়োর আকার দিন। আপনি এই পাউডারটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন এবং এটি অনেক রেসিপিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
৫) আদা এবং রসুন কড়া আদা এবং রসুন
মিশিয়ে একটি ক্বাথ তৈরি করুন এবং এটি নিয়মিত পান করুন, এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করবে। যদি এই ক্বাথটি কিছুটা তেতো মনে হয় তবে আপনি এটিতে কয়েক ফোঁটা লেবু চেপে পরীক্ষা করতে পারেন।