বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন। ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ডায়েট থেকে শুরু করে ব্যায়ামের বিভিন্ন ধরণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারপরও ওজন কমে না। ওজন কমানোর সময় খাবারের আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা উচিত তা জেনে নেওয়া যাক।
ওজন কমানোর টিপস: ওজন কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করি। অনেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে দিন শুরু করেন। দিন যত এগোয় ততই ক্যালরিযুক্ত, মিষ্টি খাবার খাওয়া শুরু হয়। বেশিরভাগ মানুষ রাতের খাবারে অস্বাস্থ্যকর খাবার খান। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। এই লেখায় আপনাকে খাবারের সময় কোন কোন বিষয়ের যত্ন নিলে ওজন কমতে পারে সে সম্পর্কে জানানো হবে।
ওজন কমানোর জন্য আপনার ক্যালরির একটি সীমা নির্ধারণ করা উচিত। রাতে দুই লোকমা কম খান। অতিরিক্ত খাবেন না। যতটা সম্ভব পুষ্টিকর এবং হালকা খাবার খান।
রান্না করার সময় আপনি যে তেল ব্যবহার করেন, সেই তেলে কত ক্যালরি আছে তা আগে দেখে নিন। যদি আপনি বেশি ভাজা খাবার দুপুর এবং রাতের খাবারে খান, তাহলে আপনার ওজন কখনই কমবে না। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা যে কোনও তেলই হোক, খাবারে তেলের পরিমাণ কম রাখা উচিত।
দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের মধ্যে আমরা কী এবং কতটা খাই তার প্রভাব আমাদের ওজনের উপর পড়ে। যদি আপনি দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের মধ্যে অনেক বেশি সময় নেন, তাহলে বেশি ক্ষুধার কারণে রাতে আপনি বেশি খেতে শুরু করবেন। তাই সন্ধ্যায় নাস্তা সময়মতো খান।
অনেক সময় পানীয় জলের গুরুত্ব মানুষ বোঝে না। জল শুধু আমাদের হাইড্রেটেড রাখে না, এটি আমাদের রোগ থেকে দূরে রাখতে এবং কম খেতে সাহায্য করে। খাবারের ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস জল পান করুন।
খাবার সবসময় শান্ত মনে খাওয়া উচিত। খাওয়ার সময় কখনও টিভি দেখবেন না। এর ফলে আমাদের পেট কখন ভরেছে তাও আমরা বুঝতে পারি না এবং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলি। সাবধানে খেলে আপনি আপনার ক্যালরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ঘুমানোর ২ ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। যদি আপনার ওজন কমাতে হয়, তাহলে ৭ টার মধ্যে নিয়মিত খাবার খান এবং ঘুমাতে যান। দেরিতে খাওয়ার পর ঘুমাতে গেলে ওজন কমে না।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় আলু বেশি খেলে পেট ভরে যায়। আলু খেলে মোটা হওয়া যায় এটি একটি ভুল ধারণা। বরং, এতে প্রচুর ফাইবার এবং ভালো মানের কার্বোহাইড্রেট থাকে। আপনার কেবল কম পরিমাণে খাওয়া দরকার।
(দাবিত্যাগ: এই লেখাটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদানের জন্য। Asianet News এই তথ্যের দায়ভার নেয় না। আরও তথ্যের জন্য আপনি বিশেষজ্ঞ বা আপনার পরিচিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।)