
Health News: ৪০ বছর বয়স পার করার পর পুরুষের জন্য প্রতি বছর অন্তত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি যেমন রক্তচাপ পরীক্ষা, কোলেস্টেরল ও লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা (যেমন লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা) এবং ক্যান্সার স্ক্রিনিং (যেমন প্রোস্টেট এবং কোলোরেক্টাল)।
এই পরীক্ষাগুলি বয়স-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি সনাক্ত করতে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে।
১. রক্তচাপ পরীক্ষা :
গুরুত্ব: উচ্চ রক্তচাপ প্রায়শই কোনো লক্ষণ ছাড়াই হয়, কিন্তু এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের একটি প্রধান কারণ।
কতবার: প্রতি বছর অন্তত একবার এটি পরীক্ষা করা উচিত।
২. কোলেস্টেরল ও লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা :
গুরুত্ব: উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কতবার: ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর একবার করা উচিত, অথবা আপনার জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে ডাক্তার প্রতি ৫ বছর অন্তর এটি করার পরামর্শ দিতে পারেন।
৩. ডায়াবেটিস পরীক্ষা :
গুরুত্ব: ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক, যা দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কতবার: এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, যা সাধারণত প্রতি বছর একবার করা উচিত। যদি আপনার পূর্ব-বিদ্যমান কোনো রোগ না থাকে, তাহলেও প্রতি ৫ বছরে একবার একটি “এনএইচএস স্বাস্থ্য পরীক্ষা” করানো যেতে পারে, যা এর অংশ হতে পারে।
৪. সাধারণ শারীরিক ও অন্যান্য পরীক্ষা
গুরুত্ব: লিভার, কিডনি, থাইরয়েড এবং অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা জরুরি।
কতবার: এটি সাধারণত একটি সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা প্যাকেজের অংশ হিসেবে করা হয়।
৫. ক্যান্সার স্ক্রিনিং
গুরুত্ব: প্রোস্টেট এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের মতো কিছু ক্যান্সার ৪০ বছর বয়সের পরে পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
কতবার: আপনার ব্যক্তিগত ঝুঁকির ওপর নির্ভর করে ডাক্তার এর পুনরাবৃত্তি বা নির্দিষ্ট পরীক্ষা সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন।
এই পরীক্ষাগুলি ছাড়াও, আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে আপনার স্বাস্থ্য এবং ঝুঁকির কারণগুলির উপর ভিত্তি করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলি করা উচিত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।