মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি রাজ্যে একাধিক গরু ও মহিষের দুধে বার্ডফুর ভাইরাস পাওয়া গেছে। তারপরই এই গবেষণা শুরু করা হয়েছিল। এই গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে ভাইরাসে সংক্রমিত কাঁচা দুধ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য বিশেষ করে মানুষের জন্য মোটেও নরাপদ নয়।
বার্ড ফ্লু ঠিক কতটা ক্ষতি করতে পারে মানুষের তার একই আঁচ পাওয়া গেছে নতুন গবেষণা। শুক্রবার প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে পাস্তুরিত দুধ- যাতে বার্ড ফ্লু ভাইরাস H5N1 রয়েছে সেটি যদি না ফুটিয়ে ইঁদুরকে খাওয়া হয় তাহলে ইঁদুরটি অসুস্থ হয়ে যায়। ছোট্ট এই প্রাণীটির একাধিক অঙ্গ প্রত্যক্ষের ক্ষতি করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি রাজ্যে একাধিক গরু ও মহিষের দুধে বার্ডফুর ভাইরাস পাওয়া গেছে। তারপরই এই গবেষণা শুরু করা হয়েছিল। এই গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে ভাইরাসে সংক্রমিত কাঁচা দুধ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য বিশেষ করে মানুষের জন্য মোটেও নরাপদ নয়। ভাইরোলজিস্ট ইয়োশিহিরো কাওয়াওকা রীতিমত সতর্ক করে বলেছেন, কাঁচা দুধ পান করবেন না। কাওয়াওকা ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন, ম্যাডিসনে কাজ করেন। এই গবেষণার সঙ্গে তিনি যুক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ দুধই পাস্তুরিত করার পরে বিক্রি হয়। তাই অনেকেই দুধ না ফুটিয়ে কাঁচা অবস্থানেই পান করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফুড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সারা দেশ থেকেই দুধের নমুনা সংগ্র করেছে। বলেছে দুগ্ধজাত পণ্য়ের ২০ শতাংশেই ভাইরাল পাওয়া গেছে। তবে তারা আবার পাস্তুরিত দুধকে নিরাপদ বলেও দাবি করেছেন।
কাওয়াওকা এবং তার সহকর্মীরা নিউ মেক্সিকোতে আক্রান্ত দুগ্ধপালন থেকে সংগ্রহ করা দুধের নমুনায় ভাইরাসের সন্ধান করেছিলেন। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে দুধের একটি নমুনায় ভাইরাসের মাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে যা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা হয়েছিল এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে ফ্রিজে রাখা কাঁচা দুধে H5N1 উপস্থিত থাকার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। গবেষণার ফলাফল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।