
প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস (World Aids Day) পালিত হয়। ভারতে ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, এইডস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩.১৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩১.৪ লক্ষ। আগের তুলনায় দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা কমেছে। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরাও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন। এর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এইচআইভি সংক্রমণের কারণে এইডস হয়, যা রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। এই অবস্থায়, ইমিউনিটি বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি, নাহলে ব্যক্তি ঘন ঘন অসুস্থ হতে পারে। খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি, শস্য এবং সাইট্রাস ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সাইট্রাস ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। আপনার খাবারে কখনও বাসি খাবার খাওয়া উচিত নয়। প্রক্রিয়াজাত খাবারও এইডস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক।
প্রতিদিন ব্যায়াম করলে একদিকে যেমন হাড় মজবুত হয়, তেমনই পেশী শক্তিশালী হয়। হৃদরোগের পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী রোগ কমে। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে মেজাজও ভালো থাকে এবং শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা পায়। শরীরকে শক্তিশালী করতে প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করা উচিত।
যদি কোনো ব্যক্তি অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন, তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। এইচআইভি রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন যোগব্যায়াম শুরু করা উচিত। এছাড়াও, এমন গ্রুপ তৈরি করা উচিত যেখানে তারা কথা বলতে এবং তাদের সমস্যা শেয়ার করতে পারে। এটি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
এইডস রোগীদের ধূমপান, মদ্যপানের মতো খারাপ অভ্যাস থেকে দূরে থাকা উচিত। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর কাজ করে। এগুলি থেকে দূরে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় এবং রোগের লক্ষণগুলি কমানো যায়। এই বিষয়ে আপনি ডাক্তারের কাছ থেকে আরও তথ্য নিতে পারেন।