চিয়া বীজ: ওজন কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই হলেও সবাই খেতে পারবেন না! জানেন কারা খাবেন না?

চিয়া বীজের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। কিন্তু কিছু সমস্যা আছে যাদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত।

চিয়া বীজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

চিয়া বীজ আকারে ছোট হলেও এর উপকারিতা অনেক। এগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এতে ওমেগা-৩ রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। शाकाহারীদের জন্য প্রোটিনের উৎস। অনেকের জন্য উপকারী হলেও, কারও কারও জন্য এটি ক্ষতিকর। এই পোস্টে ৫ ধরনের মানুষের জন্য চিয়া বীজ এড়িয়ে চলার কারণ জানুন।

পেটের সমস্যা

চিয়া বীজ জল শোষণ করে ফুলে উঠতে পারে। এটি খেলে পেট ভরা অনুভূতি হয়। যদি আপনার পেট ফাঁপা, অন্ত্রের সমস্যা থাকে তবে চিয়া বীজ এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি হজমে সাহায্য না করে বরং হজমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। পেট ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ

চিয়া বীজে থাকা আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে যারা এই রোগের জন্য ওষুধ খান তাদের চিয়া বীজ খাওয়া উচিত নয়। ওষুধের সাথে চিয়া বীজ খেলে রক্তচাপ খুব কমে যেতে পারে। এতে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। রক্তচাপের রোগীরা খুব অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

রক্ত জমাট বাঁধা

চিয়া বীজে ওমেগা-৩, প্রদাহ-বিরোধী উপাদান আছে। এটি হৃদয় ও মস্তিষ্কের জন্য ভালো। তবে চিয়া বীজ রক্ত পাতলা করতে পারে। যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান তাদের সতর্ক থাকতে হবে। ওয়ারফারিন, অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খেলে চিয়া বীজ এড়িয়ে চলুন।

অ্যালার্জি

চিয়া বীজে অ্যালার্জি হতে পারে। তিল, সরিষা বা আলসি বীজে অ্যালার্জি থাকলে, চিয়া বীজেও অ্যালার্জি হতে পারে। চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক থাকুন।

সতর্কতা!

চিয়া বীজ ভিজিয়ে খেলেও আলাদা করে জল পান করতে হবে। চিয়া জল শোষণ করলেও এটি শরীরের জলের চাহিদা পূরণ করে না। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে ২-৩ লিটার জল পান করুন। শুকনো চিয়া বীজ খেলে গলায় আটকে যেতে পারে। চিয়া বীজ ভিজিয়ে খাওয়া উচিত।