আজ থেকে Co-Win পোর্টালে নাজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আসুন প্রথমে আপনাকে বলি নাসাল ভ্যাকসিন কী এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করা হয় এবং এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর।
চিনে করোনার মারাত্মক অবস্থার ফলে মধ্যে ভারত সরকার এখন থেকেই সাবধানে প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। করোনার মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। এখন আবার ভারত় সরকারের পুরো ফোকাস করোনা ভ্যাকসিনেশনের দিকে। আজ থেকে Co-Win পোর্টালে নাজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আসুন প্রথমে আপনাকে বলি নাসাল ভ্যাকসিন কী এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করা হয় এবং এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর।
প্রথমে জেনে নিন এটি বুস্টার ডোজ এর মত প্রয়োগ করা হবে। ভারত বায়োটেকের এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনটির নাম iNCOVACC। এই ভ্যাকসিনটি ভারত বায়োটেক এবং আমেরিকার ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে তৈরি করেছে এবং এটি তিন ধাপের পরীক্ষায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণেই করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে এটি এখন কো-উইন পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এটা কিভাবে ব্যবহার করা হয়?
৬যখনই টিকা নিয়ে কথা হয়, তখন মনের মধ্যে একটি ছবি তৈরি হয় যে এটি বাহুতে বা শরীরের যে কোনও অংশে সূঁচ দিয়ে প্রয়োগ করা হবে, তবে ন্যাজাল ভ্যাকসিন হাতে না দিয়ে নাকের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত যত গবেষণা হয়েছে তাতে জানা গিয়েছে, নাক দিয়েই শরীরে জায়গা করে নেয় করোনা। এমতাবস্থায় এই ভ্যাকসিনটি যদি নাক দিয়ে দেওয়া হয় তবে তা খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হবে।
ন্যাজাল ভ্যাকসিন দিয়ে কি করোনার ঝুঁকি এড়ানো যাবে?
ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিনটি তিনবার প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশেষ বিষয় হল তিনটি পরীক্ষাতেই এটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে ১৭৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপের ২০০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর তৃতীয় পর্বে দুটি ট্রায়াল হয়। এটি প্রথমটিতে ৩১০০ জন এবং দ্বিতীয়টিতে ৮৭৫ জনের উপর বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে এটি দুটি ডোজ ভ্যাকসিন এবং অন্যটিতে বুস্টার ডোজ হিসাবে দেওয়া হয়েছিল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে
ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের পরে, ভারত বায়োটেক দাবি করেছিল যে এটি খুব কার্যকর এবং নাকের সাহায্যে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়া উচিত যাতে আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনা থেকে সেরে উঠতে পারেন।
ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে?
ভাইরাস বেশিরভাগই নাক দিয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করে। এই ভ্যাকসিনটি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে আপনার রক্তে এবং আপনার নাকে প্রোটিন তৈরি করে যাতে আপনি সহজেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারেন। এর প্রভাব প্রায় দুই সপ্তাহ পর আপনার শরীরে শুরু হয়।