
Chewing Gum: খেলাধুলার জগৎ সবসময়ই উত্তেজনা, চাপ ও হাই-ফোকাসের জায়গা। বিশেষ করে ক্রিকেটের মত খেলায় প্রতিটি বল, প্রতিটি মুহূর্তেই খেলোয়াড়কে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা টিভিতে প্রায়ই দেখি, বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বা আরও অনেক আন্তর্জাতিক অ্যাথলিট টানটান পরিস্থিতিতেও চুইংগাম চিবোচ্ছেন। বাইরে থেকে এটি হয়তো সাধারণ অভ্যাস মনে হতে পারে, কিন্তু এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। শরীর ও মস্তিষ্কের ওপর চুইংগাম চিবানো যে প্রভাব ফেলে, তা অনেক খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স ও মানসিক স্থিরতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রচণ্ড চাপের পরিবেশে কার আচরণ কেমন, তা পরীক্ষা করে একাধিক নিরীক্ষায় গবেষকেরা লক্ষ করেছেন, চিবোনোর ছন্দোবদ্ধ ক্রিয়া ব্যক্তিকে সতর্ক রাখে এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে স্নায়ু সক্রিয় হয়। আর তাই ক্রীড়াবিদেরা (অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও) চিবোনোর কাজকে সূক্ষ্ম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। এতে মনোযোগ বাড়ে, মাথাও ঠান্ডা থাকে। তা ছাড়া কোনও কিছু চিবোনোর ক্রিয়া ধীরে ধীরে স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিসলের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি, চিবোনোর সময় মুখ আর চোয়াল একনাগাড়ে নড়াচড়া করে বলে রক্তসঞ্চালন উন্নত হয়। ফলে মস্তিষ্কে বেশি অক্সিজেন পৌঁছায়। মনোযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে যা বেশ কার্যকরী। কেবল তা-ই নয়, স্মরণশক্তি ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বাড়ে এতে।
গরম আবহাওয়া বা দীর্ঘক্ষণ ফিল্ডিং—দু’ক্ষেত্রেই মুখ শুকিয়ে যায়। গাম লালা নিঃসরণ বাড়ায়, ফলে মুখ আর্দ্র থাকে। অভ্যাস এবং রুটিনের অংশ অনেক ক্রিকেটারের জন্য চুইং গাম এক ধরনের ম্যাচ-রুটিন। কারও জন্য এটা আত্মবিশ্বাস আনে, কারও জন্য কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। মাঠে চুইং গাম চিবোনো কোনও ক্রিকেটারের শুধুমাত্র অভ্যাস নয়, এর ফলে একদিকে ফোকাস যেমন বাড়ে, তেমনই মানসিক শক্তিও মেলে। পাশাপাশি শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখে এবং FFC-তে সাহায্য করে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।