শীতে দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত, সকালে না বিকেলে, কখন হাঁটতে যাওয়া ভালো জানেন?

Published : Dec 04, 2025, 10:39 PM IST
morning walking

সংক্ষিপ্ত

Health News: শীত পড়তেই দূষণের পাল্লা ভারী। খবরে চোখ রাখলেই এখন ধোঁয়াশা ঢাকা রাজধানীর ছবি। কলকাতার অবস্থা ততটা খারাপ না হলেও বাতাসের গুণমান নির্ধারক সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) বলছে, সতর্ক হওয়া জরুরি।

Winter 2025: শীতে খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় হাঁটা ক্ষতিকর। কারণ এই সময়ে বাতাস সবচেয়ে বেশি দূষিত ও ভারী থাকে, যা সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতি করে। শীতকালে বাতাসের তাপমাত্রা কম থাকায় দূষণকারী কণাগুলো (যেমন ধুলো, গাড়ির ধোঁয়া) মাটিতে কাছাকাছি জমে থাকে। এর পরিবর্তে, সকালের কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর অথবা বিকেলে যখন রোদ থাকে, সেই সময়ে হাঁটলে দূষণের মাত্রা কম থাকে এবং এটি স্বাস্থ্যকর। শীত পড়তেই দূষণের পাল্লা ভারী। খবরে চোখ রাখলেই এখন ধোঁয়াশা ঢাকা রাজধানীর ছবি। কলকাতার অবস্থা ততটা খারাপ না হলেও বাতাসের গুণমান নির্ধারক সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স)বলছে, সতর্ক হওয়া জরুরি। সমীক্ষা বলছে, এ শহরও বায়ুদূষণের নিরিখে খুব একটা পিছিয়ে নেই। যানবাহনের ধোঁয়া, আবাসনগুলিতে দেদার এসির ব্যবহার, সব মিলিয়ে বাতাসে দূষণবাহী কণার পরিমাণ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সকাল-সন্ধ্যায় হঁটাহাঁটি করতে বারণই করছেন চিকিৎসকেরা।

কেন ভোরে বা সন্ধ্যায় হাঁটা ক্ষতিকর?

  • দূষণকারী কণার ঘনত্ব: শীতের শুরুতে, বিশেষ করে ভোরের দিকে, কুয়াশার কারণে বাতাস ভারী হয়ে থাকে এবং দূষণকারী কণাগুলো মাটি সংলগ্ন অঞ্চলে জমাট বেঁধে থাকে। এই সময়ে হাঁটাচলার ফলে এই ক্ষতিকর কণাগুলো সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করে।
  • যানবাহনের ধোঁয়া ও ধুলো: শীতকালে যানবাহনের ধোঁয়া এবং রাস্তাঘাটের ধুলো বাতাসের সঙ্গে মিশে দূষণের মাত্রা বাড়ায়। খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় এসব দূষণ বেশি সক্রিয় থাকে।
  • জমাট বাঁধা বাতাস: শীতের ভোরে বাতাস ‘জমাট’ বা ‘স্থির’ থাকে, যা দূষণকে দূরে যেতে দেয় না। রোদ উঠলে বাতাস উষ্ণ হয়ে নড়াচড়া শুরু করে, ফলে দূষণ কিছুটা কমে যায়।

কোন সময়ে হাঁটবেন?

  • সকালের রোদ ওঠার পর: শীতের সকালে কুয়াশা বা শিশির কেটে যাওয়ার পর, যখন রোদ উঠতে শুরু করে তখন হাঁটতে বের হওয়া সবচেয়ে ভালো। এই সময় বাতাস তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার থাকে।
  • বিকালে: বিকেলের দিকে, বিশেষ করে যখন রোদ থাকে, তখনও হাঁটা যেতে পারে। এই সময় দূষণের মাত্রা কম থাকে।
  • দিনের মাঝামাঝি: অনেক বিশেষজ্ঞ দিনের মাঝামাঝি সময়টিকে (যেমন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো) হাঁটার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করেন, কারণ এই সময় রোদ ভালোভাবে পড়ে এবং বাতাস কিছুটা উষ্ণ ও সচল থাকে।

তা হলে কখন হাঁটা ভালো?

বেলা ১১টা থেকে ৪টের মধ্যে হাঁটা সবচেয়ে ভাল। ওই সময়ে ভোরের ঠান্ডা বাতাস উপরে উঠে যায়, বদলে উষ্ণ বাতাস এসে সে জায়গা নেয়। রোদও ওই সময়ে চড়া থাকে, যা দূষণবাহী কণাগুলির গতি রুদ্ধ করে। তা ছাড়া ওই সময়ে হাঁটলে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়াও সম্ভব।

  • সতর্কতা: হাঁটতে বের হওয়ার আগে বায়ুর মান সূচক (AQI) দেখে নিন। ১০০-এর বেশি হলে তা অস্বাস্থ্যকর এবং ২০০-এর বেশি হলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। সবুজ ও গাছের কাছাকাছি বা খোলা জায়গায় হাঁটার চেষ্টা করুন। ধীর গতিতে হাঁটা শুরু করে ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকলে, কুয়াশা বা ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

পেঁপে খাওয়া কাদের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে, এক ক্লিকে জেনে নিন বিস্তারিত
ওষুধ ছাড়াই দীর্ঘ ১৮ মাস সুস্থ এইডস আক্রান্ত ১০ রোগী! তবে কি খোঁজ মিলল নিরাময়ের দিশা