প্রতি বছর ১৬ মে ডেঙ্গু দিবস পালিত হয়, যাতে মানুষ এই রোগ, এর চিকিৎসা এবং যত্ন সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এর মধ্যে তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং প্লেটলেটের হ্রাসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। ডেঙ্গুর সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকতে পারে, ডাক্তারের চিকিৎসার পাশাপাশি আমরা আপনাকে কিছু ঘরোয়া টোটকা বলব যা লক্ষণগুলি কমাতে এবং আরোগ্য লাভে সাহায্য করতে পারে।
28
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার টিপস
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার ৫টি ঘরোয়া উপায়:
পেঁপের পাতার রস – প্লেটলেট বাড়ানোর সেরা উপায়
পেঁপের পাতার রস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে খুবই কার্যকর।
এতে থাকা এনজাইমগুলি শরীরে প্লেটলেট উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে।
৪-৫ টি পেঁপের পাতা ধুয়ে তাদের রস বের করে দিনে দুবার এক চামচ করে খান।
শিশু বা গর্ভবতী মহিলাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ান।
38
নারকেলের জল এবং তরল পানীয়
নারকেল পানি এবং তরল পানীয় – হাইড্রেশন জরুরি
ডেঙ্গুতে শরীরে পানির অভাব খুবই সাধারণ। নারকেল পানি ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেয়।
দিনে ৩-৪ বার নারকেল পানি, লেবুর শরবত, ORS এবং সাধারণ পানি পান করুন।
গিলোয় একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং জ্বর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
গিলোয়ের লতা নিয়ে তা পানিতে সেদ্ধ করুন। এই ক্বাথ দিনে দুবার পান করুন।
গিলোয় ট্যাবলেট বা রসও বিকল্প হতে পারে।
58
তুলসী পাতা
তুলসী পাতা – ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক ঔষধ
তুলসীতে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। এটি জ্বর নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৫-৭ টি তুলসী পাতা পানিতে সেদ্ধ করে পান করুন। ইচ্ছা করলে এতে আদা এবং মধুও মেশাতে পারেন।
68
ডালিম এবং কিউই
ডালিম এবং কিউই – প্লেটলেট এবং রক্তের ঘাটতি রোধ করে
ডালিম এবং কিউই উভয়ই শরীরকে আয়রন এবং ভিটামিন সি সরবরাহ করে। এগুলি নতুন রক্ত কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
দিনে দুবার এক গ্লাস ডালিমের রস বা কিউই খান। এটি শরীরকে শক্তি এবং স্ফূর্তি দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
ডেঙ্গুতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না, যেমন ব্রুফেন বা অ্যাসপিরিন।
প্লেটলেট लगातार কমে গেলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
মশারি, পুরো হাতা পোশাক এবং মশা তাড়ানোর ঔষধ ব্যবহার করুন।
78
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
শরীরে যদি ডেঙ্গু রোগের জীবানু বাসা বাঁধে তাহলে খাবারের তালিকায় রাখুন পালং শাক, বিট, মটরশুঁটি জাতীয় আয়রনে ভরপুর খাবার। এছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার যেমন- কলা, তরমুজ, লেবু, মাল্টা, ডালিম, নারকেল জল রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। এতে সহজেই ডেঙ্গু নিরাময় হবে।
88
তরল পানীয় বা জুস
এই সময় খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে জল, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS), পরিষ্কার স্যুপ, ফলের রস। এবং প্রোটিন, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন বি১২, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করাও গুরুত্বপূর্ণ।