
৪০ বছর বয়সের পর স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া স্বাভাবিক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক ভাবে পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও চিন্তাশক্তি প্রভাবিত হতে পারে। তবে নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে এই ঘাটতি ধীর গতিতে আসতে পারে। কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস রপ্ত করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। মস্তিষ্কের ধার বাড়াতে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে নতুন কিছু শেখা, নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া—এই ৫টি অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি।যেমন :
মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সচল রাখতে এবং নতুন সংযোগ তৈরি করতে নতুন কিছু শেখা খুব জরুরি। এটি নতুন ভাষা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, বা যেকোনো নতুন শখ হতে পারে।
নতুন কিছু শেখার প্রক্রিয়া মস্তিষ্কের "নিউরোপ্লাস্টিসিটি" বাড়াতে সাহায্য করে, যা নতুন তথ্য গ্রহণ ও সঞ্চয় করার ক্ষমতাকে উন্নত করে।
নিয়মিত এক জায়গায় আটকে না থেকে নতুন স্থান পরিদর্শন করা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এটি মস্তিষ্কের পরিচিত পথগুলোকে ভেঙে নতুন পথ তৈরি করতে সাহায্য করে।
নতুন পরিবেশ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে সক্রিয় করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। এটি স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা বা যোগা—যেকোনো ধরনের ব্যায়াম উপকারী হতে পারে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক দিনের বেলার স্মৃতিগুলো সংগঠিত করে। প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
ফল, সবজি, বাদাম এবং মাছের মতো খাবারগুলি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।