দুধ বা এজাতীয় খাবার ছাড়াও যে পুষ্টি পাওয়া যায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বলেছেন, বাদাম দুধ, ওট মিল্ক থেকেও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়।
দুগ্ধজাত খাবার ছাড়া একজনের ডায়েটের অংশ হতে পারে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দুগ্ধজাত খাবার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই বলেন পুষ্টির জন্য দুধ বা দুধের তৈরি খাবার যেমন ছানা, দই, ঘোল, মিষ্টি খুবই জরুরি। কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে পুষ্টিবীদ রুজুতা দিওয়েকর এই বিষয়ে স্পষ্ট একটি ধারনা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, দুগ্ধজাত খাবার জরুরি নয় পুষ্টির জন্য। তবে এই নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত বিষয় নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তিনি তুলে ধরেছেন। দুগ্ধ, দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যগুলি সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলির মধ্যে একটি যা কেউ পুষ্টির পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলির ভাল বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে তাদের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারে- বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেছেন এইজাতীয় খাবার নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে একটি মিথ রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন দুগ্ধজাত খাবার ভারতীয়দের সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। প্রকৃতি আর বাস্তুসংস্থান পরিবারের সঙ্গে খাপ খায়।
দুধ বা এজাতীয় খাবার ছাড়াও যে পুষ্টি পাওয়া যায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বলেছেন, বাদাম দুধ, ওট মিল্ক থেকেও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, কৃত্রিম দুখের থেকে খামারের দুধ অনেক ভাল। তবে দুধ খেয়ে হজমের সমস্যা হল তা বন্ধ করে দিতে বলেন চিকিৎসকরা। তিনি আরও বলেছেন, যারা গর্ভাবতী, সদ্যো মা হয়েছেন বা যাদের থাইরয়েড রয়েছে তাদের জন্য দুধ জরুরি।
ডায়েটিশিয়ান গরিমা গোয়াল তার চিন্তাভাবনাও ভাগ করে নেন, এবং অনুরোধ করেন যে দুধ একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার যা প্রোটিন, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে ভরপুর। তিনি বলেন দুধ বা দুধের তৈরি খাবার পুরোপুরি বন্ধ না করাই শ্রেয়।