অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন? সুস্থ থাকতে ঘরোয়া উপায় মেনে চলুন

অল্প বয়স থেকেই নানান রোগে ভোগেন অনেকে। এই সকল রোগে মধ্যে অন্যতম অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা। এই সমস্যা যেন নিত্যদিনের। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া টোটকা মেনে চলুন। মিলবে উপকার

জল পান

জল পান করুন নিয়ম করে। পাকস্থলীতে উপস্থিত অ্যাসিডের প্রভাব কিছুটা হলেও কমে যায় নিয়মিত জল পান করলে। যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন তারা পর্যান্ত জল পান করুন। মিলবে উপকার।

অ্য়ালোভেরা জুস

খেতে পারেন অ্য়ালোভেরা জুস। অ্যালোভেরা গাছের পাতা কেটে জেল বের করে নিন। তা মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। জল দিয়ে জুস বানান। এটি নিয়ম করে খান। মিলবে উপকার।

কলার

খেতে পারেন কলা। ভিটামিন ও খনিজ আছে কলাতে। এটি পাকস্থলীতে উপস্থিত অ্যাসিডের সমস্যা দূর করে। নিয়ম করে কলা খেলে এমন অ্যাসিডের সমস্য়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

পুদিনা পাতা

অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে পুদিনা পাতার গুণে। পুদিনা দিয়ে জুস বানিয়ে নিন। তাতে পরিমাণ মতো নুন দিন। অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুদিনা পাতার জুস খেতে পারেন। মিলবে উপকার।

মৌরি

অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মৌরি খেতে পারেন। এমন সমস্যা দেখা দিতে মৌরি চিবিয়ে খান। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটবে সমস্যা থেকে।

দারুচিনি

অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে দারুচিনি খেতে পারেন। পেটের খেয়াল রাখতে নিয়ম করে দারুচিনি খেতে পারেন। অনেক সময় গ্যাসের সঙ্গে বমি বমি ভাব দেখা দেয়। দারুচিনি খেলে সমস্যা দূর হবে।

এরই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। যারা অম্বল ও গ্যাসের সমস্যার বেশি ভোগেন তারা অধিক তেল ও মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। এটি স্বাস্থ্যের আরও ক্ষতি করে অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।

সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন সবজি ও ফল। নিয়ম করে ১ বাটি সবজি সেদ্ধ খান। এটি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। এমন সমস্যা দূর করবে।

এমন রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়ম করে ফল খেতে পারেন। রোজ একটি করে মরশুমি ফল খেলে মিলবে উপকার। যে কোনও শারীরিক সমস্যা তো দূর হবেই সঙ্গে দূর হবে অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা।

অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক সময় খাওদা দাওয়া করুন। সঠিক সময় খাবার খেলে তা সহজে হজম হয়। অসময় খাবার খাওয়ার কারণে তা সঠিক ভাবে হজম হয় না। এতে অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।