
সাম্প্রতিক সময়ে ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। ছোট বাচ্চাদেরও ক্যান্সার দেখা দিচ্ছে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রাই এই ক্যান্সার বৃদ্ধির কারণ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জেন জি (Gen Z)-দের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার জন্য কোন খাবার দায়ী। জেন জিরা যদি এই খাবার থেকে দূরে থাকে তাহলে কিছুটা হলেও ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে পারে। আমেরিকান পুষ্টিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, অ্যালকোহল এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
জানা গিয়েছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং অ্যালকোহল সেবনের ফলে যুবকদের মধ্যে ক্যান্সার বেড়ে চলেছে। ১৯৯৭ এবং ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাই ভালো বলে জানিয়েছেন।
প্রক্রিয়াজাত মাংস বিপজ্জনক : সাম্প্রতিক সময়ে প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। একদিনে ৫০ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বেড়ে যায়। হট ডগ, সসেজ, ডেলি মাংসের মতো প্রি-কুকড মাংসও বিপজ্জনক। এগুলি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রক্রিয়াজাত অ্যালকোহল বিপজ্জনক : প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং অ্যালকোহল থেকেই ক্যান্সার বেড়ে চলেছে বলে তাদের দাবি। অ্যালকোহল বলতে বিয়ার, ওয়াইন, স্পিরিট, সাইডার এবং শট বোঝায়। অ্যালকোহল থেকে হওয়া ক্যান্সার শুধু অন্ত্র এবং কোলনে সীমাবদ্ধ নয়। এটি মুখ, গলা, স্বরযন্ত্র, খাদ্যনালী, কোলন, মলদ্বার, যকৃতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। মাংসে ব্যবহৃত নাইট্রেট এবং প্রিজারভেটিভ অন্ত্রের কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অতি-প্রক্রিয়াজাত মাংসের পরিবর্তে, বাড়িতে রান্না করা গ্রিলড চিকেন অথবা প্রোটিন সমৃদ্ধ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ধূমপান থেকে ক্যান্সার : প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং অ্যালকোহলের পাশাপাশি ধূমপানও ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ধূমপানকারী ব্যক্তিই নয়, তার ধোঁয়া নেওয়া ব্যক্তিও ক্যান্সারের শিকার হচ্ছে। ধূমপান এবং ক্যান্সারের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ধূমপান শরীরে বিপজ্জনক কোষের বৃদ্ধি ঘটায়। ১৯৯০ এর দশক থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। বেশিরভাগ যুবক ধূমপান, মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ব্রিটেনে প্রতি বছর প্রায় ৪৪,১০০ টি নতুন কোলন ক্যান্সারের ঘটনা ধরা পড়ে।
ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমন অন্যান্য খাবার : ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমন অন্যান্য খাবারের মধ্যে রয়েছে ভাজা খাবার। ডিপ ফ্রাই করা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও চিনি মেশানো পানীয়ও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাবেন কীভাবে? ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য খাবার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সব ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এছাড়াও ব্যায়াম করা, মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।