
বাঙালির প্রিয় পুজো হচ্ছে দুর্গাপুজো। আর এই পুজোতে নতুন জামা কাপড় এবং জুতো পরে ঠাকুর দেখতে বেরোবেন না এমন লোক খুব কমই হয়। পুজোর সময় এক মণ্ডপ থেকে অপর মণ্ডপ ঘোরাঘুরি তো হয়ই। আর নতুন জুতো পরে ঘুরে বেড়ালে অধিকাংশ মানুষের পায়ে ফোস্কা পড়ে। এর ফলে পুজোয় ঘোরার আনন্দের বদলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়।
অনেক সময় দেখা যায় নতুন জুতো পরে হাঁটাহাঁটি শুরুর পরে পায়ে জ্বালাযন্ত্রণাও শুরু হয়ে যায়। তখন সবার সামনে জুতো খুলে ফেলাও যায় না, আবার জুতো পরে থাকাটাও হয়ে দাঁড়ায় কষ্টকর। নতুন জুতোয় পায়ের গোড়ালিতে সাধারণত সবচেয়ে বেশি ফোসকা পড়ে। এরপর বেশি পড়ে বুড়ো আঙুলের নিচে আর কড়ে বা কানি আঙুলের পাশে। একবার ফোসকা পড়ে গেলে সেই জুতো কদিন পায়ে না দেওয়াই উত্তম। তাহলে এখন কী উপায় যে ফোসকা পড়লে সেটি নিরাময় কীকরে করবেন বা যাতে ফোসকা না পড়ে কী করবেন জানা যাক।
* পায়ে ফোস্কা এড়াতে জুতো পরার আগে কোনও ময়শ্চারাইজার, জেলি বা নারকেল তেল পুরো জুতোয় ভালো করে মাখিয়ে রাখুন। এতে ফোস্কার ঝুঁকি কমে।
* ফোসকা গভীর হলে কিংবা তা থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হলে চিকিৎসককে দেখাতে হবে।
* সবার ঘরেই নারকেল তেল বা মধু থাকে। ফোসকার ওপর নারকেল তেল বা মধু দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে দ্রুত সেরে যায়।
* ফোসকা পড়া জায়গায় বরফ ঘষলেও আরাম পাওয়া যায়।
* অ্যালোভেরা জেল ফস্কার জন্য খুব উপকারী। সেটা থাকলে ফোসকায় লাগিয়ে নিতে পারেন। জেল শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* গ্রিন–টি ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে সেই জল ব্যবহার করলেও ফোসকাতে আরাম পাওয়া যায়।
* ফোস্কার জায়গায় টুথপেস্ট ব্যবহার করলেও আরাম পাওয়া যায়।
* অযথা ফোসকা পড়ার উপরে সেই জুতো পরে ঘুরবেন না সেই জায়গায় ব্যান্ডেড লাগান অথবা ফোসকা পড়তে পারে কোন কোন জায়গায় সেটা তো আপনারা বুঝতেই পারেন সে ক্ষেত্রে গোড়ালি ঠিক উপরের দিকে যদি মনে করেন তাহলে আগে থেকে একটা ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখতে পারেন যাতে সেখানে কোনোভাবে ফোস্কা না পরে।