
Weight Loss Formula: নিয়মিত হাঁটলেই যে শরীর ফিট থাকবে, ওজন কমে যাবে এমন ধারণা সবসময় ঠিক নয়। তবে রোজ হাঁটা কিন্তু ওজন কমানো ও শরীর সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ব্যায়াম। ওজন বাড়ার সম্ভাবনা এড়াতে ডায়েটে তিনটি প্রধান বিষয় মনে রাখা খুব জরুরি: পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ (প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম), সঠিক সময়ে ও পরিমাণ মতো ক্যালরি গ্রহণ করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। যা ফাইবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। সুস্থ থাকতে এবং দীর্ঘায়ু হতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত এক ঘণ্টা বা তার বেশি হাঁটেন, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই দেহে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টিগুণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। এমনকী, কারও কারও ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হাঁটার ফলে পেটের মেদও বাড়তে পারে।
যাঁরা নিয়মিত হাঁটেন, ব্যায়াম করেন তাঁদের ডায়েটে কিছু জিনিস থাকা খুবই বাঞ্ছনীয়। যেমন প্রোটিন থাকাটা খুবই জরুরি। হাঁটার ফলে হৃৎপিণ্ড এবং দু'টি পা ভালো থাকে। কিন্তু ডায়েটে প্রোটিনের অভাবে পেশির ঘনত্ব কমতে পারে। তার ফলে সময়ের সঙ্গে দেহের আকারও বদলাতে থাকে। তাই নিয়মিত হাঁটলে ডায়েটে প্রতি দিন যাতে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে অতি অবশ্যই। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ডিম, পনির, ডাল, মাছ এবং মাংস খাওয়া যেতে পারে। বয়স ৪০ বছরের বেশি হলে প্রোটিন সাপ্লিমেন্টও ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার শরীরে সোডিয়াম ভারসাম্য বজায় রাখতে নুনের ব্যবহার প্রয়োজন। যখন আপনি হাঁটতে শুরু করেন নিয়মিত হাঁটার জন্য দেহে ঘাম হয়। তার ফলে দেহ থেকে জল এবং সোডিয়াম বেরিয়ে যায়। সেই ভারসাম্য পূরণ করা জন্য তখন নোনতা খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। তার ফলে দেহে ক্যালরিও বেড়ে যায়। দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে নুন-লেবুর সরবত খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া হাঁটার ফলে ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে জল বেরিয়ে যায়। দেহে জলশূন্যতা তৈরি হলে পেশির ঘনত্বে পরিবর্তন হয়। তাই নিয়মিত হাঁটলে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত। তার ফলে দেহে শক্তির অভাব ঘটবে না।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।