health tips: একমুঠো কালো ছোলাতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার, জানুন এটি কী করে খেতে হয়

কালো ছোলা আবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কালো ছোলা অনেক সময় মুগ ড়াল নামেও পরিচিত।

 

Web Desk - ANB | Published : Apr 21, 2023 6:23 PM IST

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুন উপকারি কালো ছোলা। এটি যদি নিয়মিত পাতে রাখা যায় তাহলে ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে রাখে। ডায়াবেটিশের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। কালো ছোলা আবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কালো ছোলা অনেক সময় মুগ ড়াল নামেও পরিচিত। তবে কীভাবে এটি আপনার নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় রাখবেন তারই একটি সহজ উপায় রইল।

কালো ছোলা

কালো ছোলা অনেক ক্ষেত্রে মুগ ডাল নামেও পরিচিত । এটি গোলাকার. সবুজ বা বাদামী রঙের শাক বা গাছ থেকে উৎপাদন হয়। সাধারণত ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রান্নায় ব্যবহার করা হয় কালো ছোলা। ডাল, তরকারি তৈরি করা হয়। চাইলে আপনি স্যুপের মত করেও খেতে পারেন। খাদ্য তালিকায় ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ যেমন আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্কের অভাব পুরণ করতে পারে।

ডায়াবেটিসে কালো ছোলার উপকারিতা

গবেষকদের দাবি কালো ছোলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটিতে গ্লুকোজ কম থাকে। এটি খুব ধীরে ধীরে হজম হয়। রক্তে চিনির গতিকে ধীর করে দেয়। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কালো ছোলায় ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি হজম শক্তিকে উন্নত করতে পারে।

কালো ছোলা খাওয়ার পদ্ধতি

এটি রান্না করে খেতে পারেন। মুসুর ডাল বা ছোলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেত পারেন। জলে ভিজিয়ে রেখে অঙ্কুরিত করে সালাদ তৈরি করতে পারে। আবার মসলা ছোলা যেমন করে খান তেমন করেও খেতে পারেন।

কালো ছোলা খাওয়ার ঝুঁকি

কালো ছোলা শরীরের জন্য উপকারী হলেও এটিতে নানা ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা এটি এড়িয়ে চলুন। গ্যাস বা ডায়েরিয়া হতে পারে। যাদের শরীরে ফোলা ভাব রয়েছে তারা এটি ভুলেও খাবেন না। কিছু ওষুধ রয়েছে- সেগুলি খেলে এই ছোলা খাওয়া নিষেধ। কালো ছোলা খেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কালো ছোলা খাওয়া ছাড়াও, আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য আপনি অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে পারেন। চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এমন একটি সুষম খাদ্য খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, নিয়মিত ব্যায়াম এবং একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সাহায্য করতে পারে। পরিশেষে, আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা এবং আপনার কোনো সমস্যা হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

Share this article
click me!