বিশেষজ্ঞদের মতে আর্কটুরাস তার পূর্বসুরীদের তুলনায় আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এটি পূর্ববর্তী সংক্রমণ বা ভ্যাকসিনের অনাক্রম্যতা এড়াতে পারে।
ভারতে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার দেশের আট রাজ্যকে সতর্ক করে চিঠি লিখেছে। বলেছে এখনও পর্যন্ত কোভিড মহামারি শেষ হয়নি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবারও মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে সাধারণ মানুষ। বলা হয়েছে ভিড় এড়িয়ে চলছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান দেশে কোভিড -১৯ এর সংক্রমণ বাড়ৃার পিছনে রয়েছে কোভিড আর্কটারাস বৈকল্পিক XBB.1.16। বিশেষজ্ঞজের অনুমান এটি ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে আর্কটুরাস তার পূর্বসুরীদের তুলনায় আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এটি পূর্ববর্তী সংক্রমণ বা ভ্যাকসিনের অনাক্রম্যতা এড়াতে পারে। যদিও XBB.1.16 রোগটি খুবই হালকা। তবে এটি শিশু ও দুর্বল মানুষের পাশাপাশি বয়স্কগের কাবু করে দিতে পারে। এদের মধ্যে বিভিন্ন রোগ তৈরি করতে পারে।
আর্কটুরাস বৈকল্পিক কী?
আর্কটুরাস ভ্যারিয়েন্ট হল XBB.1.16 নামে পরিচিত। এটি কোভিড-১৯এর ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের এক সাব ভেরিয়েন্ট। এটি ২০২৩ সালে ভারতে প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। এটির মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়।
XBB.1.16 দ্রুত কোভিড তরঙ্গ তৈরি করতে পারে
শুধু ভারত নয়। বিশ্বের আরও ২৯টি দেশেই দ্রুত কোভিড-১৯এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ৃছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এটি মানুষকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা রাখলেও কাবু করতে পারে না।
XBB.1.16 হুমকি
আর্কটুরা ভেরিয়েন্ট হল ওমিক্রন সাব ভেরিয়েন্ট বাভাইরাসের আগের সমস্ত স্ট্রেইনের চেয়ে দ্রুত ছড়াতে পারে। XBB.1.5 র মতই। কিন্তু অতিরিক্ত মিউটেশন রয়েছে। যা একটিকে আরও সংক্রামক করে তোলে। এটি ভাবরতে প্রভাবশালী তকমা পেয়েছে। দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে এটির মাধ্যমে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম। এর বেশিরভাগ উপসর্গই নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
XBB.1.16 লক্ষণ
এর উপসর্গগুলি হল কোভিড-১৯এর পূর্ববর্তী স্ট্রেইনের মতই এর আকরণ। জ্বর, শরীরে ব্যাথা, মাথাব্যাথা, গলাব্যাথা, সর্দি ভাব, ক্লান্তি, কাশি।
তবে শিশুদের ক্ষেত্রে খুব জ্বর হতে পারে। কাশি থাকে। চুলকানি বা কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
XBB.1.16 সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজন
এটির সংক্রমণ এড়াতে কোভিড-১৯এর যাবতীয় নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। যেমন মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা, হাত বারবার স্যানিটাইজ করা বা ধুয়ে ফেলা। ভ্যাকসিন যদি নেওয়া না থাকে তাহলে দ্রুত ভ্যাকসিন নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।