
হিল জুতো পড়তে কোন মেয়েটা না ভালোবাসে! তাও যদি আবার হয় পুজো পার্বণ তো সে ক্ষেত্রে হিল জুতো ছাড়া মেয়েদের সাজ পরিপূর্ণ হয় না।
পুজোয় সুন্দর পোশাক ও সুন্দর সাজগোজ এর সাথে যদি একটা হিল জুতো না হয় তাহলে আর জমে নাকি? কিন্তু যদি আপনি কোনভাবে পায়ের সমস্যায় বা কোমরের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে হিল জুতোটা একটু কম পরাই ভালো। পুজোর সময় যদি আপনি ঠাকুর দেখতে বেরোন তবে ভিড়ে হিল জুতোটা কম পড়াযই শ্রেয়। কারণ কোনোভাবে ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে যদি পা মচকে যায় সেক্ষেত্রে আরেক হিতে বিপরীত।
তবে যদি আপনি খুব অল্প সময়ের জন্য পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোন সেক্ষেত্রে আপনি হিল জুতো অনায়াসে পড়তেই পারেন। কিন্তু যদি আপনার রাতের বেলা সারারাত ধরে ঠাকুর দেখার প্ল্যান থাকে বা সারাদিন ধরে ঠাকুর দেখার প্ল্যান থাকে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার হিল জুতোটা এড়িয়ে চলাই ভালো। না হলে পায়ের ব্যথায় পুরো পুজোটাই আপনার মাটি হতে পারে। এই কারণে পুজোয় হিল জুতো যাতে আপনি পড়ে সামান্য হাঁটতে পারেন বা আরাম দায়ক হয় তার জন্য একটা দুটো ঘরোয়া রেমেডি আপনি করতেই পারেন। এই যেমন ধরুন আপনি হিল জুতো পড়ে বেরোনোর ঠিক আগে অন্তত ১৫ কুড়ি মিনিট আগে হালকা উষ্ণ গরম জলে যদি আপনি আপনার পা দুটি ওই জলে ৫ থেকে ৭ মিনিট ডুবিয়ে রাখেন এবং তারপরে জল থেকে তুলে পা টাকে ভালো করে স্ট্রেচ করতে থাকেন তাতে অনেকটাই আপনার পায়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন এবং আপনি আরাম করে হিল জুতো পড়ে বেশ কয়েক ঘন্টা কাটাতেই পারবেন। তবে হিল জুতো কেনার সময় অবশ্যই নিজের দেহের ওজন এবং পায়ের আকার বুঝে তারপর হিল জুতো কিনবেন। যদি না হয় সেক্ষেত্রে আপনার পায়ে অতিরিক্ত চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদি একান্তই পায়ে কোমরে সমস্যা থাকে এবং চিকিৎসকের নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে এই জুতো এড়িয়ে চলবেন। কখনই পুজোর মধ্যে শুধুমাত্র হিল জুতো পরতে ভালো লাগে বলে নানা সমস্যার সূত্রপাত ঘটিয়ে পুজোর আনন্দ মাটি করবেন না। প্রয়োজন হলে পায়ের ব্যথা এড়াতে জুতোর মধ্যে, পায়ের তলায় জেল কুশনিং প্যাডও রাখতে পারেন।